নয়াদিল্লি: লোকসভার স্পিকার পদে প্রার্থী দিয়েছে শাসক-বিরোধী দুপক্ষই। তবে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস কোনও আলোচনা করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থীকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত হয়। তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভা নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন হাজির ছিলেন ওই বৈঠকে।
সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিষেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সাংসদ কে সুরেশকে স্পিকার পদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিরোধী জোটের সমস্ত শরিকদের সঙ্গে কথা না বলেই তা করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি এই সিদ্ধান্ত একতরফাভাবে নেওয়া হয়েছে।’ যদিও এর পর লোকসভার সামনের সারিতে পাশাপাশি বসে রাহুল গান্ধী এবং অভিষেককে কথা বলতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী। এভাবে একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যে ভুল ছিল, সেটাও মেনেছেন তিনি।
পাশাপাশি, অষ্টাদশ লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন রাহুল গান্ধী। এ বারের লোকসভা ভোটে কেরলের ওয়েনাড় এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী— দু’টি আসন থেকেই সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রাহুল।
মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খড়্গের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা পদে রাহুল গান্ধীর নাম সর্বসম্মত ভাবে অনুমোদন পেয়েছে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেত্রী সনিয়া গান্ধী মঙ্গলবারই লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা পদে রাহুলকে মনোনীত করার সিদ্ধান্তের কথা লোকসভার প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাবকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন।