ডেস্ক: সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে বাধা দেওয়ার। ভোটে সন্ত্রাস সৃষ্টির। রাজ্যে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের দাবিতে আজ কমিশনের (ECI) দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের দিল্লির কার্যালয়ে যান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সৌগত রায় এবং সর্বভারতীয় পদের নেতা যশবন্ত সিনহা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তাঁরা বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের সঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
কমিশন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌগত রায় বলেন, একই সঙ্গে কোভিড সংক্রান্ত বিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্যও একজন থাকবেন, আর তিনি বাঙালি। তাই বুথে বাঙালি রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘একে ভাষা বোঝা যায় না, তার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক বা রুট মার্চ করা দেখে ভয় পেয়ে যান গ্রামের মানুষ।’ বুথে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে তাতে ভোটারদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মহুয়া জানান, বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কমিশন। প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সারদাকাণ্ডে রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিত্ কর পুরকায়স্থ, রজত মজুমদারকে তলব ইডি-র
যশবন্ত সিনহা সাংবাদিকদের জানান, ‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে চোট লেগেছে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কমিশন। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। যদি সেই তদন্ত ২ মে’র মধ্যে সমাপ্ত না হয় তাহলে সরকার গঠনের পর কী করা যায় তা দেখা হবে। এছাড়া বাংলার নির্বাচন যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং সুষ্ঠুভাবে হয় তার জন্য সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হবে।’