নয়াদিল্লি: কৃষকদের দাবিগুলি উপেক্ষা করার অভিযোগে সরকারকে চাপে রাখতে ১৪ ডিসেম্বর আবারও দিল্লি অভিমুখে যাত্রা শুরু করার ঘোষণা করেছেন কৃষকরা। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকছে ১০১ জন কৃষকের একটি দল। তাদের মূল দাবি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি)-র আইনি গ্যারান্টি এবং কৃষিঋণ মকুব।
এর আগে ৮ ডিসেম্বর, দিল্লি চলো অভিযানের একটি ধাপ বাধার মুখে পড়ে কৃষক সংগঠনগুলি। বিক্ষোভ চলাকালীন বেশ কয়েকজন কৃষক আহত হন এবং একজন গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছিল।
৬ ডিসেম্বর, শম্ভু সীমান্ত থেকে যাত্রা শুরু করলেও হরিয়ানা প্রবেশে বাধা দেয় প্রশাসন। প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া দিল্লি অভিমুখে এগোনোর সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তবে, সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের প্রধান দাবিগুলি:
- ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) আইনি গ্যারান্টি।
- কৃষি ঋণের মকুব।
- কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের জন্য পেনশন।
- বিদ্যুতের বর্ধিত খরচ প্রত্যাহার।
- কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পুলিশি মামলা প্রত্যাহার।
- ২০২১ সালের লাখিমপুর খেরি সহিংসতার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার।
সুপ্রিম কোর্টের রায়
এদিকে, সোমবার জাতীয় এবং রাজ্য সড়কের অবরোধ সরিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ চেয়ে দায়ের করা একটি আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, একই বিষয়ে আগের একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে, তাই একই বিষয়ে বারবার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রসঙ্গত, সংযুক্ত কিসান মোর্চা (অরাজনৈতিক) এবং কিসান মজদুর মোর্চার নেতৃত্বে কৃষকরা ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু ও খানৌরি সীমান্তে অবস্থান করছেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবের অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
এই নতুন বিক্ষোভ সরকারের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে এবং কৃষকদের দাবি কতটা পূরণ হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।