ডেস্ক: দেশ ছাড়ার পর প্রথমবার ভিডিও বার্তায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। প্রাণভয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছেন জানালেন প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট। অবশেষে স্বীকার করলেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তরফে জানানো হয়েছে যে মানবিকতার খাতিরে সেখানেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পর একটি ভিডিয়ো বার্তায় দেশ ছাড়ার পর প্রথম মৌনতা ভাঙলেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। রক্তপাত এড়াতে যে কাবুল ছেড়েছেন সে কথা আগেই বলেছিলেন ঘানি। এবার তিনি নাম না করে জবাব দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কে। সেই সঙ্গে টাকা নিয়ে দেশ ছাড়ার যে গুজব তৈরি হয়েছে তা মিথ্যা বলেও ওড়ালেন তিনি।
ভিডিওবার্তায় তিনি বললেন, বাধ্য হয়েই দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। গনির আশঙ্কা, তিনি দেশে থাকলে তাঁর পরিণতিও হত প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট নাজিবুল্লাহর মত। গনি বলেন, এমন অবস্থায় তাঁকে সরে যেতে হয় যে জুতোটুকুও তিনি গলানোর সময় পাননি।
তিনি বলেন, যদি তিনি কাবুলে থাকতেন তাহলে সেখানে আরও ধ্বংসাত্মক ঘটনা ঘটত।সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের থেকে লড়াই করার জন্য আফগান সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইসলাম আইন মেনেই নারী স্বাধীনতা, বাধ্যতামূলক নয় বোরখা! ঘোষণা তালিবানের
ভিডিও বার্তায় আশরাফ বলেন, “এমন কিছু মানুষ প্রাসাদে ঢুকে পড়েছিলেন যারা এমনকী স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন না। তারা কার্যত গায়ের জোরে প্রাসাদে ঢুকে গিয়েছিলেন গত রবিবার। দ্রুত একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে।” তাঁর কথায়, “আমি চেয়েছিলাম একটা সমঝোতা তৈরি করতে যাতে তালিবানের সঙ্গে মিলেজুলে সরকার চালানো যায়। কিন্তু আমার কোনও কথাই শোনা হয়নি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আফগান সরকারের সঙ্গে তালিবানের কথাবার্তা হলেও তা শেষ করা যায়নি। সেটা আমাদের ব্যর্থতা। তাঁর দাবি, তিনিও চেয়েছিলেন যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হোক। কিন্তু তার আগেই আফগানিস্তান থেকে উৎখাত হতে হয়েছে তাঁকে।
সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পত্তি চুরির যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল, সেটাও অস্বীকার করেছেন ঘানি। তাঁর বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে চপারে করে টাকা-পয়সা নিয়ে পালানোর অভিযোগ মিথ্যা। কারণ, টাকা পয়সা নিয়ে পালাতে গেলে আমিরশাহীর বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগেই তিনি আটকে যেতেন। ঘানির দাবি, পরনের কাপড় ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আর কিছুই নিয়ে যাননি তিনি।