গোয়ার তৃণমূল কার্যালয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই হামলা চালায় গোয়া পুলিশ এবং গোয়া নির্বাচন কমিশনের লোকজন, এমনটাই অভিযোগ জানায় গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের গোয়ার দফতরকেই টার্গেট বানিয়েছে সেখানকার শাসক দল বিজেপি।
বিজেপির এই উদ্দেশ্য পূরণের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হচ্ছে গোয়া পুলিশ বিভাগকে। সঙ্গে দোসর হিসেবে গোয়া রাজ্য নির্বাচন কমিশনের লোকজনও রয়েছে বলেও অভিযোগ তৃনমূলের।
তৃণমূলের অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, গোয়ায় তৃনমূলের দলীয় দফতরে শুক্রবার রাতে হামলা চালায় গোয়া পুলিশ। আর এই ঘটনায় গোয়া পুলিশের সঙ্গে ছিল গোয়ার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বেশ কিছু লোকজনও।
তৃণমূলের অভিযোগ, শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ, তৃণমূলের দলীয় দফতরে এসে পৌঁছয় গোয়া পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের লোকজন। এবং ওই সময় সেখানে উপস্থিত কর্মীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই দফতরে বসে যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছে, সেই বৈঠক করবার আদৌ কোনও অনুমতি তৃণমূলের কাছে রয়েছে কিনা? এখানে উল্লেখযোগ্য যে, গোয়ায় এই দফতর টিকেই তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গোয়ার দফতর হিসেবে আপাতত ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই নাকি এই দফতরকেই ইচ্ছাকৃতভাবে ডিসটার্ব করবার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। শুক্রবার রাতের ওই পুলিশি হানাদারিতে নাকি দফতরের ফ্লেক্স ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্থানীয় স্তরে অভিযোগ জানিয়েছে গোয়া তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়াও দলের তরফে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।