ডেস্ক : সামান্য হলেও সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে দিল্লিতে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজধানীতে দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউ শেষের মুখে। তবে পরিস্থিতি যে এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে তেমনটা বলা যায়। কোভিড তথ্য বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের।
এই পরিস্থিতে কোভিড রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরবিচ্ছিন ভাবে কাজ করে চলেছে ইন্টারন্যাশানাল হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (IHRO)। দিল্লির স্বাস্থ্য ও পরিবারমন্ত্রকের সহযোগিতায় রকিবগঞ্জ গুরুদুয়ারায় যে কোভিডে সেন্টার চলছে তার নোডাল সংস্থা হিসাবে কাজ করছে আইএইচআরও।
৪০০ বেডের এই কোভিড সেন্টারে ইতিমধ্যেই ২ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন অমিতাভ বচ্চন। পরিচাললক রেহিত শেট্টি এই সেন্টারে ২৫০ হাসপাতাল বেড দান করেছেন।
মূলত স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে চলা এই কোভিড সেন্টারের ২০০ স্বাস্থ্যকর্মী, যাদের মধ্যে ৫০ জন চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁর তিনটে শিফটে কাজ করেছেন।
যে সব কোভিড রোগীদের অক্সিজেন মাত্রা ৮৫ বা তার উপরে রয়েছে, তাদের এই সেন্টারের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হচ্ছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে লোক নায়ক হাসপাতালে।
এই কোভিডে সেন্টারের সমস্ত যন্ত্রপাতি বসানো এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য দফতর। ভর্তি থাকা অবস্থায় কোনো রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে গেলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউ-তে পাঠানো হচ্ছে।
এখানে ভর্তি থেকে চিকিৎসা সবটাই করা হচ্ছে বিনামূল্যে। ইতিমধ্যেই দেশের মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে এই কোভিড কেয়ার সেন্টার। মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা কর্মসূচি ছাড়াও ধারাবাহিক ভাবে মানবসেবার নানা কাজ করে IHRO। কোভিডের সময়ও তারা ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে চলেছে।