ডেস্ক: শেষবেলার প্রচারে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে ভাঙা পায়েই উঠে দাঁড়ালেন মমতা। ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর মমতাকে ১৫ দিন বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে ২০ দিন কাটলেও এখনো নিজে পায়ে হাঁটতে পারছেন না তৃণমূলনেত্রী।অনেকের মতে, এক পায়ে দাঁড়িয়ে যন্ত্রণা নিয়েও জাতীয় সংগীত গাইলেন। দেশভক্তির পাঠ পড়ালেন।
নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ার জনসভায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার জন্য হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দলীয় নেতারা মমতাকে জানান, ‘আপনি চলে যান। তারপর জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে।’রাজি হননি মমতা। তিনি জানিয়ে দেন, উঠে দাঁড়াবেন। কোনও সমস্যা হবে না। এর পর প্রথমে ডান পা মাটিতে রাখেন মমতা। বাঁ পা ভাঁজ করে কার্যত এক পায়ে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত গান তিনি।তাঁকে ধরে রাখলেও মমতা বলেন,’হাত জোড় কর। আমাকে ধরতে হবে না। আমি ঠেসান দিয়ে আছি। পড়ব না।’ তখন তাঁর পাশে ছিলেন দোলা সেন, কিরন্ময় নন্দ, সুব্রত বক্সি।
আরও পড়ুন: অবশেষে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন লালা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, ‘হাত জোড় করে জাতীয় সঙ্গীত গাও৷ আমি ঠেস দিয়ে আছি, পড়ব না৷’ এর পর এক পায়ে হুইলচেয়ারে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়েই জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর সঙ্গে গলা মেলান দলীয় নেতা- কর্মীরা৷