শহিদ স্মরণে চব্বিশের বার্তা মমতার

ডেস্ক: শহিদ স্মরণে একুশে এবার কোভিডের জন্য হবে ভার্চুয়ালি। একুশের ভোটে বাংলা জয়ের পর আজ প্রথম শহিদ স্মরণ তৃণমূল কংগ্রেসের। বর্তমানে প্রেক্ষাপটে কেন্দ্র-রাজ্য, নবান্ন-রাজ্যপাল সংঘাত আবহে কী বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকে নজর রয়েছে সব মহলের। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ২১ জুলাই শহিদ দিবসে ‘বিজয় দিবস’ পালন করবেন তিনি। কিন্তু বাঁধ সাধল করোনা।

এদিন তাঁদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে বলেন, ‘১৯৯৩ সালে এই দিনে যে ১৩ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমি আমার সমস্ত ভাই ও বোনদের অনুরোধ করছি যে সাহসী আত্মাদের সম্মান জানাতে আজ দুপুর ২টায় একটি ভার্চুয়াল মিটে আমার সাথে যোগ দিন। যারা অমানবিক অত্যাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর আরও বাড়াতে হবে।’


এবারই প্রথম জাতীয় স্তরে দিনটি পালন করছে রাজ্যের শাসকদল। দেশের বিভিন্ন স্থানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। আর এই সাফল্যই জাতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতার ক্ষেত্রে সামনের সারিতে এনে দিয়েছে তৃণমূলকে। একুশের ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে জয়ের পর জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। মমতাকে কেন্দ্র করে নতুন করে তৃতীয় ফ্রন্ট উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।


নতুন সমীকরণে এগোতে শুরু করেছে অবিজেপি দলগুলি। লক্ষ্য ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন এবং দিল্লি-সহ দেশব্যাপী বিজেপি বিরোধিতাকে জোটবদ্ধ করার। এবছর সেই বার্তাতেই নজর রয়েছে কেবল রাজ্যের নয়, বরং গোটা দেশের। মোদী-অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন বিজেপির বঙ্গ জয় রুখেছেন মমতা। দেশের বিজেপি বিরোধী শক্তিদের কাছে তিনিই ‘মুখ’ হয়ে উঠছেন। 


দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন ১০টি রাজ্যে ক্ষমতা বিস্তারে এগোবে তৃণমূল। তবে শুধু ক্ষমতায় নয় রাজ্যজয়ের উদ্দেশ্যেই লড়াই শুরু করবে ঘাসফুল শিবির। সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে ভিন রাজ্যে ২১ জুলাই পালনকে সর্বভারতীয় পর্যায়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সূত্রপাত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে ফের ধাক্কা, ইন্টারভিউ চললেও শিক্ষক নিয়োগে ফের স্থগিতাদেশ


একুশের উদযাপন ঘিরে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। করোনার কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে পালিত হবে তৃণমূলের শহিদ দিবস। শহর থেকে ব্লকে, প্রতিটি গ্রামে থাকবে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে অনুষ্ঠান দেখানোর আয়োজন। দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরাতেও থাকছে জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা।


তৃণমূল ভবনের বাইরে বানানো হয়েছে অস্থায়ী শহিদ বেদি। সেখানে স্ক্রিন বসিয়ে নেত্রীর ভাষণ শোনানো হবে। সাড়ে ১১ টা নাগাদ তৃণমূলের ধর্মতলার শহিদ বেদিতে মালা দেবে সায়নী ঘোষ, বিশ্বজিত্ দেব, জাভেদ খানরা। সাড়ে ১২ টা নাগাদ শ্রদ্ধা জানাবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দুপুর ১টা নাগাদ শহিদ স্মরণে রাজ্য ও ভিনরাজ্যের প্রতিনিধিরা। বিধায়কদের নিজেদের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডে জায়েন্ট স্ক্রিন বা টিভিতে ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুপুর ২টোয় বক্তৃতা শুরু করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Related posts

বৃহস্পতির দুপুরে কলকাতা ও আশেপাশের জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি

সকাল থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ, আজও কি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা?

উত্তরাখণ্ডে বন পোড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত, ১৩৮৬ হেক্টর বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত, মৃত ৫