পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার সাত দিন পার হলেও এখনও অধরা হামলাকারীরা। অভিযুক্ত জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ পেলেও কোনও গ্রেফতার হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা এবং ইন্টেলিজেন্স বিভাগগুলি অবশ্য তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
সেনা সূত্রের দাবি, কুলগামে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হলেও, গুলি বিনিময়ের পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। সরকারিভাবে এই বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি সেনা। তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ, সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দল ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা বৈসরন উপত্যকা আপাতত রেসট্রিকটেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা সন্দেহভাজন হিসেবে ১৫ জন স্থানীয়কে জেরা করেছেন। তাঁদের বয়ানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, ত্রাল, সোপিয়ান এবং পুলওয়ামা জঙ্গলে জঙ্গিদের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে এবং সেখানে চলছে সংঘর্ষ।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈসরন উপত্যকার ঘন জঙ্গল ও পাহাড়ি পথ জঙ্গিদের পালিয়ে যেতে বড়সড় সুবিধা দিয়েছে। সেখান থেকে কোকেরনাগ, কিস্তওয়ার, ডোডা হয়ে সোনমার্গ বা বালতাল পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। এই কারণেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা। হামলার দায় চাপানো হয়েছে লশকর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF)-এর উপর। ভারত এই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত। পাল্টা নয়াদিল্লির সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়েছে পাক সরকার।