এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় অনেকেই লক্ষ্য করেছেন, ১০০ বা ২০০ টাকার ছোট মূল্যের নোট প্রায়শই মেলে না। বেশিরভাগ সময়ই ৫০০ টাকার নোটই মেলে। সাধারণ মানুষের এই সমস্যার সমাধানে এবার বড় পদক্ষেপ নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (RBI)।
সোমবার আরবিআই দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক ও হোয়াইট লেবেল এটিএম (WLA) অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে, এটিএমগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ১০০ ও ২০০ টাকার নোট রাখতেই হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজে ছোট নোট পেতে পারেন।
এই ব্যবস্থা ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই।
হোয়াইট লেবেল এটিএম কী?
হোয়াইট লেবেল এটিএম হল এমন এটিএম যেগুলি কোনও ব্যাঙ্ক নয়, বেসরকারি বা নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয়। এগুলিতে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যেমন টাকা তোলা যায়, তেমনি ব্যালান্স চেকসহ সাধারণ এটিএম-এর মতো সমস্ত পরিষেবা পাওয়া যায়।
নতুন নির্দেশে কী বলা হয়েছে?
আরবিআই-এর নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে:
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ এটিএম-এ অন্তত একটি ক্যাসেটে ১০০ বা ২০০ টাকার নোট রাখতে হবে।
- ৩১ মার্চ ২০২৬-এর মধ্যে সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ এটিএম-এ এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
- ধাপে ধাপে এই ব্যবস্থা চালু হলে দেশের সর্বত্র ছোট নোট সহজে পাওয়ার সুবিধা মিলবে।
১ মে থেকে এটিএম পরিষেবা হবে ব্যয়বহুল
২০২৫ সালের ১ মে থেকে নিজের ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করলে খরচ আরও বাড়বে। এখন যেখানে অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে প্রতিবার টাকা তোলার জন্য ১৭ টাকা ও ব্যালান্স চেকের জন্য ৬ টাকা লাগে, সেখানে ১ মে থেকে তা বাড়িয়ে:
- টাকা তোলার জন্য লাগবে ১৯ টাকা
- ব্যালান্স চেকের জন্য লাগবে ৭ টাকা
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আরবিআই ও ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI)-র পরামর্শ অনুযায়ী। ফলে যারা নিয়মিত অন্য ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য বাড়তি খরচ এড়াতে ভবিষ্যতে ভাবনাচিন্তা করে এটিএম ব্যবহার করাই ভালো।