সিদ্দারামাইয়া না কি শিবকুমার, কে হবেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী

এই নিয়ে গত ৫ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বার বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেস কোনো রাজ্য দখল করল। এই পরিবর্তন প্রথম লক্ষ করা গিয়েছিল হিমাচলপ্রদেশে। তার পরেই কর্নাটক। এ বার প্রশ্ন, কে হচ্ছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী? প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদায়ী বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া না কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার?

২২৪ আসনের কর্নাটকে কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৬ আসন, তাদের জোটসঙ্গী পেয়েছে ১টি। অন্য দিকে বিজেপি নেমে গিয়েছে ৬৫ আসনে। কুমারস্বামীর জেডিএস পেয়েছে ১৯টি আসন। কংগ্রেস একাই পেয়েছে ৪২.৯ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ। জেডিএস পেয়েছে ১৩.২৯ শতাংশ।

মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখলের দৌড়ে মূল লড়াই দুই নেতার মধ্যে। একদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বাসনার কথা গোপনও করছেন না দুই নেতা।

১৯৮৯ সালে প্রথমবার ভোটে জিতেছিলেন শিবকুমার। তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে তিনি হারেননি। ফলে কংগ্রেসের এই বিশাল জয়ের পর সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার, দুই নেতার সমর্থকরাই আশায় বুক বেঁধেছেন।

শিবকুমারের মতোই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি পাওয়ার বিষয়ে সমান আশাবাদী সিদ্দারামাইয়াও। ২০০৮ সালে তিনি জেডিএস থেকে কংগ্রেসে আসেন। ২০১৩ সালে কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন। এ বারও জিতেছেন লড়াইয়ে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে আরও দুই নেতা। প্রথমজন জি পরমেশ্বর। কুমারস্বামী মুখ্যমন্ত্রীর থাকাকালীন কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারে তিনিই ছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে। অন্য জন, স্বয়ং কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। গান্ধী পরিবারের অতি আস্থাভাজন হওয়ায় শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁর নামও ঘোষণা হতে পারে। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসেন, এখন সেটাই দেখার।

Related posts

অবশেষে দেখা গেল বৃষ্টির সম্ভাবনা! কবে থেকে?

সাতসকালে বড়বাজারে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন

প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে