পানিহাটির তরুণীকে নির্যাতন ও পর্নকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা খানকেও শেষমেশ গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে কলকাতার আলিপুরের ভবানীভবনের কাছ থেকে তাঁকে আটক করা হয়। দুপুরে ধরা পড়ে তাঁর ছেলে আরিয়ান খান। পাঁচ দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে একদিনেই গ্রেফতার হলেন মা-ছেলে দু’জনেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মগোপনের সময়ে শ্বেতা নিজের মোবাইল ব্যবহার করেননি। পরিচিতদের ফোনে যোগাযোগ করছিলেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁর অবস্থান জানতে পারে হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন স্থান পরিবর্তন করার পরে শেষ পর্যন্ত আলিপুরে ধরা পড়েন শ্বেতা।
অন্যদিকে, দুপুরে কলকাতার গল্ফ গ্রিন থেকে গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। অভিযোগ, মা-ছেলে মিলে হাওড়ার বাঁকড়ার ফ্ল্যাটে পর্নোগ্রাফির ব্যবসা চালাতেন। সেখানেই সোদপুরের নাবালিকা তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কোনও মতে পালিয়ে এসে পুলিশে অভিযোগ জানায় ওই তরুণী।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে শ্বেতার নাবালিকা কন্যাকেও। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে শ্বেতার মাকেও। আরিয়ান স্বীকার করেছে, অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তাঁরা নানা জায়গায় লুকিয়ে ছিলেন। তবে মায়ের অবস্থান তাঁর অজানা ছিল বলে দাবি করেছে। তদন্তে নেমে পুরো ঘটনার রহস্যভেদ করতে তৎপর পুলিশ।