‘লকেট চট্টোপাধ্যায়কে চাপিয়ে দেওয়া চলবে না’, পোস্টার ঘিরে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

কলকাতা: হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পুনরায় প্রার্থী হিসাবে চাইছেন না দলেরই একাংশ। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ, এ বার জেলার শ্রীরামপুরে লকেট বিরোধী পোস্টারও পড়েছে। যা নিয়ে শুরু রাজনৈতিক চর্চা।

এর আগে লকেটের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির বেশ কিছু নেতাকে। এ বার, বুধবার হুগলির বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের শেওড়াফুলি, বৈদ্যবাটি, শ্রীরামপুর সহ একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে এমন পোস্টার।

পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে আবেদন বহিরাগত পরিযায়ী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে শ্রীরামপুর লোকসভায় চাপিয়ে দেওয়া চলবে না। তৃণমূলকে হারাতে শ্রীরামপুরের ভূমিপুত্র চাই।’ এই কথার নিচে বন্ধনীতে লেখা হয়েছে, ‘দয়া করে কেউ আমাদের তৃণমূল বা কংগ্রেস বলবেন না, আমরা বিজেপি কর্মী।’

কিন্তু কেন লকেটকে প্রার্থী হিসাবে চাইছেন না দলেরই একাংশ?

জানা গিয়েছে, দলীয় নেতাদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, পাঁচ বছরে এই লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ উন্নয়নমূলক কাজ কতটা করেছেন, তা নিয়ে। এমনকি, তাঁর কাছে কাজের আবেদন করা সত্ত্বেও সাংসদ কর্ণপাত করেননি, এই অভিযোগও শোনা যাচ্ছে। সাংগঠনিক ভাবেও লকেটের ভূমিকা নিয়ে চর্চা চলছে। জেলা বিজেপির একটি বড় অংশের অভিযোগ, সাংসদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল ছেড়ে আসা লোকজন এবং দলের নতুনরা। তিনি ফোন ধরেন না। একটি শংসাপত্রের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। নিজের ইচ্ছেমতো পদাধিকারীদের সরিয়ে দেন।

যদিও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি মোহন আদক সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, ‘এটা তৃণমূলের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। যেহেতু চোরদের সরকার হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে, তাই তার থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে লকেটের নামে শ্রীরামপুরে পোস্টার ফেলা হয়েছে।’ 

Related posts

সন্দেশখালি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল, সিবিআইয়ের পদক্ষেপ ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে বলে অভিযোগ শাসক দলের

জেলায় জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, বুধবারের আগে স্বস্তি নেই

আজ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে জোড়া সভা মমতার