ডেস্ক: জনজীবনে সক্রিয় ভূমিকা থেকে তিনি সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন। এবার তিনি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর পরামর্শদাতার পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রশান্ত কিশোর। বৃহস্পতিবার অমরিন্দর সিংকে চিঠি লিখে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। চিঠি লিখে তিনি পদ ছাড়ার কথা জানিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে পঞ্জাব থেকে পিকে-র বিদায় কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা। তবে পিকের কথায় “কিছুদিনের জন্য জনসমক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা থেকে নিস্তার চান।” পরবর্তী পদক্ষেপ কী, সেটা নিয়ে কিছু জানাননি তিনি। এর মধ্যে তিনি দফায় দফায় দেখা করেছেন শরদ পাওয়ারের সঙ্গে।
পঞ্জাব কংগ্রেসের যুযুধান দুই নেতা মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং নভজ্যোত সিং সিধুর মধ্যে ঝগড়া কমিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ব ভূমিকা নেন প্রশান্ত কিশোর। কেননা পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছিল তাতে নির্বাচনের আগেই পঞ্জাবে কংগ্রেসের দুর্বল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। একদিকে সিধুকে যেমন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি মানতে রাজি ছিলেন না অমরিন্দর সিং, অন্যদিকে সিধুর লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার। যদিও শেষ পর্যন্ত সিধুকে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করে এযাত্রায় দু’নেতার মধ্যে ঝামেলা মেটায় কংগ্রেস। যার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল প্রশান্ত কিশোরের।
আরও পড়ুন: ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভায় সাসপেন্ড তৃণমূলের ৬ সাংসদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের জয়ের পিছনে প্রধান কুশলী পিকে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, “আমি কিছুদিনের জন্য জনসমক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালনের থেকে অবসর চাইছি। আমি আপনার মুখ্য পরামর্শদাতা হিসাবেও দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারিনি। আগামিদিনে আমি কী করব, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায়, আমি আপনার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি এই দায়িত্ব থেকে আমায় নিস্তার দিন।”
এদিকে, প্রশান্ত কিশোরের সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছে। সূত্রের খবর, প্রশান্ত কিশোর রীতিমতো বড়সড় পদ নিয়েই কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। দলের গঠনতন্ত্রেও পরিবর্তন চান তিনি। এ বিষয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের মত জানতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। দলের একাংশ নাকি প্রশান্তকে দলে নেওয়া নিয়ে আপত্তিও জানিয়েছেন। প্রশান্তের কাজের পদ্ধতি তাঁদের পছন্দ নয়। সেসব আলোচনার মধ্যে ভোটকুশলীর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।