কলকাতা: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আক্রান্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে এবং “যাঁরা ফিরে আসতে চান, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে” কেন্দ্রের উদ্দেশে আহ্বান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিঘার নির্মীয়মাণ জগন্নাথ মন্দিন পরিদর্শনে গিয়ে মমতা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ বাড়ছে এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
নয়াদিল্লি ইতিমধ্যে অভিযোগ করেছে, বাংলাদেশ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সম্প্রতি একজন বিশিষ্ট হিন্দু সন্ন্যাসীকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
মমতা বলেন, “আমরা চাই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ করুক। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হবে। যাঁরা ভারতে ফিরতে চান, তাঁদের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।”
তিনি আরও জানান যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত খোলা রয়েছে এবং সেখান দিয়ে অনেক মানুষ আসছেন। মমতা বলেন, “অনেক মানুষ সীমান্ত দিয়ে আসছেন। কোথাও বিএসএফ তাঁদের আটকাচ্ছে, আবার কোথাও আটকাচ্ছে না। যাঁরা বিমানে আসছেন, তাঁরা আসছেন। বিমান চালু রয়েছে। ট্রেন চালু রয়েছে। যাঁদের ভিসা ও পাসপোর্ট রয়েছে, তাঁরা আসছেন। সীমান্ত বন্ধ করা হয়নি”।
অন্য দিকে, সোমবার ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে আক্রমণকে “দুঃখজনক” বলে উল্লেখ করেছেন। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেন্দ্রের আওতায়। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা ভারত সরকার নেবে। ইতিমধ্যেই প্রতিনিধিও পাঠানো হয়েছে। দু দেশের বৈঠকও হয়েছে। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশের অশান্তিকে হাতিয়ার করে বাংলাকেও উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। সোশাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন। বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে একদল।