১ এপ্রিল থেকে সোনা কেনার নিয়মে বদল, জানুন প্রয়োজনীয় তথ্য

আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু নতুন আর্থিক বছর (২০২৩-২৪)। আর্থিক বছরের প্রথম দিন থেকেই কার্যকর হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। আর সেদিন থেকেই বদলে যাবে সোনার গয়না কেনাবেচার নিয়ম।

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ছয়-সংখ্যার আলফানিউমেরিক অনন্য শনাক্তকরণ নম্বর ছাড়া হলমার্ক করা সোনার গহনা এবং সোনার প্রত্নবস্তুর বিক্রয় ১ এপ্রিল থেকে অনুমোদিত হবে না। প্রতিটা সোনার গহনার জন্য একটি অনন্য এইচইউআইডি (HUID) কোড দেওয়া হবে।

অর্থাৎ, আপনি যদি সোনার গয়না কিনতে আপনার স্থানীয় জুয়েলারি দোকানে যান, তা হলে আপনাকে ভালো করে দেখে নিতে হবে বিআইএস (BIS) হলমার্ক ছাড়াও, সোনার গহনায় এমবস করা ওই ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক আইডি রয়েছে কি না।

এইচইউআইডি মানে হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন। এটি একটি ছয় সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড যা বর্ণমালা এবং সংখ্যা নিয়ে গঠিত। বিআইএস-প্রত্যয়িত অ্যাসেইং এবং হলমার্কিং সেন্টারে এইচইউআইডি স্ট্যাম্প করা হয়।

এইচইউআইডি স্বচ্ছতা প্রদান করে, ক্রেতার অধিকার নিশ্চিত করে এবং আইনি জটিলতার সম্ভাবনাকে এড়ানো যায়। ডিপার্টমেন্ট অব কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, কেউ হলমার্ক করা সোনার গয়না বিক্রি করার সময় প্রকৃত মূল্য পেতে পারে।

ক্রেতাদের সোনার গহনার টুকরোটির বিশুদ্ধতা সম্পর্কে জুয়েলার্সের দাবিগুলি যাচাই করার অনুমতি দেয় এই এইচইউআইডি। সোনার গহনার উপর স্ট্যাম্প করা এইচইউআইডি কোড বিআইএস কেয়ার অ্যাপে যাচাই করা যেতে পারে। যদি কোনো সোনার দোকানি জাল এইচইউআইডি কোড স্ট্যাম্প করে থাকেন, তা হলে একজন ক্রেতার তরফে এটি যাচাই করার এবং জুয়েলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পথ খোলা রয়েছে।

Related posts

মালদহে ভোটপ্রচারে মুখ্যমন্ত্রী, মঙ্গলে জোড়া সভা

গরমে সেদ্ধ হওয়ার জোগাড়! মঙ্গলেও তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা

চাকরি বাতিলের রায়ে সায়, তবে মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে তদন্তে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের