মৃতের সংখ্যা ১৪০০ পার, ফের ভয়াবহ ভূমিকম্প তুরস্কে

প্রায় এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প! সোমবার ভোরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। প্রাথমিক ভূমিকম্পের পরে ৫০টিরও বেশি আফটারশক হয়েছিল। যেগুলির মধ্যে একটি ৭.৫ মাত্রার কম্পন হয় এ দিন দুপুরে।

প্রথম ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহর। রিখটার স্কেলে প্রথম কম্পনটির মাত্রা ৭.৮। ১০ মিনিট পরেই আফটার শক। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৭। ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লেবানন, সিরিয়াতেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। তুরস্ক লাগোয়া সিরিয়ার একাংশেও বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়। ভোরবেলায় তুরস্কের যে এলাকা আক্রান্ত হয়েছিল সেই কাহরামানমারাস প্রদেশে ছিল ওই দ্বিতীয় ভূমিকম্পেরও কেন্দ্রস্থল। ভোরবেলার থেকে খুব একটা কম ছিল না এই দ্বিতীয় ভূমিকম্পের তীব্রতা। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫।

তুরস্ক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বারের কম্পনের ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা ১৪০০ পার করেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। তবে দ্বিতীয় বারের কম্পনের জেরে নতুন করে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি তুরস্ক প্রশাসন।

এ দিনের একের পর এক ভূমিকম্পে তুর্কির অন্তত ১০টি শহর মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে গাজিয়ানটেপ, কাহরামানমারাশ, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালত্য, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস এলাকায়। এছাড়াও ভূমিকম্পের জেরে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে সিরিয়া সীমান্তের আলেপ্পো, হামা এবং লাতাকিয়া এলাকায়।

Related posts

দাদা ইউসুফের প্রচারে বহরমপুরে ইরফান পাঠান

বৃহস্পতির দুপুরে কলকাতা ও আশেপাশের জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি

সকাল থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ, আজও কি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা?