দু’বছর পর আবার শুরু হল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনে বেশি বেশি বিনিয়োগ টানাই লক্ষ্যে সম্মেলনের প্রথম দিনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হচ্ছে ‘শিল্পসাথী’ পোর্টালের পথচলা। সামিটে উদ্বোধনের লক্ষ্যে নতুন এই পোর্টাল তৈরির কাজ কয়েক মাস আগেই শুরু করেছিল নবান্ন। অবশেষে শেষ হল প্রতীক্ষার পালা। এবার বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিন থেকেই শুরু হল এই পোর্টালের মাধ্যমে অত্যন্ত সহজ ও ওয়ান উইন্ডো পদ্ধতিতে নতুন নতুন শিল্পের বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা দূর করবার নবতম প্রয়াস।
এই রাজ্যে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের কী কী করণীয়, তার বিশদভাবে উল্লেখ থাকছে এই পোর্টালে। সঙ্গে রাজ্যের কোন জেলায় কী ধরনের জমি পাওয়া যেতে পারে, সে বিষয়েও থাকছে যাবতীয় তথ্য পরিসংখ্যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্ক’ তৈরি করেছিলেন। সেই ‘ল্যান্ড ব্যাঙ্ক’-এর বিস্তারিত তথ্য শিল্পপতিরা এই পোর্টালে ক্লিক করলেই হাতে পেয়ে যাবেন বলে নবান্নের এক আধিকারিকের দাবি।
বিগত দিন গুলিতে রাজ্য তথা দেশের বেশ কয়েকজন শিল্পপতি এই রাজ্যে শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে নিজেদের কিছু প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত স্তরের আলোচনায় জানিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর প্রশাসনিক স্তরে আলাপ আলোচনার শেষে সেই সমস্ত প্রস্তাব নতুন এই শিল্প সাথী পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বাংলায় শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে যে ‘ওয়ান উইন্ডো’ পদ্ধতি চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যার কথা নাকি শিল্পপতিরা পয়েন্ট আউট করেছিলেন। জানা গিয়েছে, সেই সব সমস্যার সমাধানও থাকছে এই পোর্টালের মধ্যে। অন্তত এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
এই বাংলায় শিল্পে বিনিয়োগে ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী বিশেষ সুবিধা রয়েছে, সেই তথ্যও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই পোর্টালটিতে। এক কথায় এই পোর্টালটিতে ক্লিক করলেই দেশ-বিদেশের যে কোনও বিনিয়োগকারী রাজ্যে শিল্প স্থাপনের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে যাবতীয় নথি কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই পেয়ে যাবেন বলেও দাবি করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, শিল্পের গতি ত্বরান্বিত করবার লক্ষ্যে তৈরি এই শিল্প সাথী পোর্টাল ঠিক কতটা সহায়ক হয়ে উঠতে পারে রাজ্যের মা মাটি মানুষের সরকারের জন্য।
আরও পড়ুন :
BGBS: মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় রাজ্যপাল, অনুষ্ঠান শুরুর আগে বৈঠক আদানির সঙ্গে
বাংলায় ২৫ হাজার কর্মসংস্থান ও ১০ হাজার কোটি বিনিয়োগ : আদানি