ভোটুভুটির মাধ্যমে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

ডেস্ক: বিধানসভায় ভোটুভুটির মাধ্যমে পাশ হয়ে গেল রাজ্যে বিধান পরিষদ গঠনের প্রস্তাব। মঙ্গলবার দ্বিতীয় অর্ধের অধিবেশনে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থন নিয়ে পাশ হয় এই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ল ১৯৬টি, বিপক্ষে পড়ল ৬৯টি ভোট৷ সমাজের বিভিন্নস্তরের প্রতিনিধিত্বকে সুনিশ্চিত করতে এই বিশেষ উদ্যোগ বলে জানিয়েছে শাসক দল। এদিকে বিধান পরিষদের গঠনের বিরোধিতা করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।


বিজেপি প্রথম থেকেই বিধান পরিষদ গঠনের বিপক্ষে৷ এ দিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী যুক্তি দেন, বিধান পরিষদ গঠন করলে রাজ্যের কোষাগারে বাড়তি চাপ পড়বে৷ যে খরচকে অপচয় বলেই দাবি করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক৷ বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও বিধান পরিষদ গঠনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন৷ আইএসএফ-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও বিধান পরিষদ গঠনের বিপক্ষেই মত পোষণ করেন৷ তবে বিধান পরিষদ গঠন নিয়ে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷


এদিকে নিয়ম অনুসারে  বিধানসভায় পাশ হয়ে গেলেও বিধান পরিষদ গঠনের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সীলমোহর দরকার। পাশাপাশি সেখানে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রকে ঘুরে রাজ্য ও লোকসভা দুটি কক্ষেই প্রস্তাবটি পাশ হতে হবে। এরপর সর্বশেষ পদক্ষের অনুসারে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর প্রয়োজন। তারপর এটি চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে।

আরও পড়ুন: সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেন কুণাল ঘোষ


প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই প্রস্তাব বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রামের বিধায়কের কথায়, “এই পরিষদ তৈরির কোনও প্রয়োজন নেই। ১৯৬৯ সালে যে যে যুক্তির ভিত্তিতে বিধান পরিষদ তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা আজও একইভাবে প্রযোজ্য।” মূলত তিনটি কারণে বিরোধিতার করার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছেন বলে জানান শুভেন্দু। যার মধ্যে অন্যতম, ‘আর্থিক দায়ভার’।

Related posts

অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট, ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য মমতার

‘বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন সময়ের অপেক্ষা’, মনোনয়ন পেশ করে আশাবাদী অভিষেক

পর্দা ফাঁস করে চলেছেন একের পর এক অভিযোগকারিণী, সন্দেশখালি কি এখন ব্যুমেরাং হয়েছে বিজেপির?