‘কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের প্রভাবিত করছে, মানুষের শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে বাহিনীকে ‘ঘেরাও’ করতে বলেছি’, কমিশনকে ব্যাখ্যা মমতার

ডেস্ক: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। মানুষের অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলেছি।’  কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করা নিয়ে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।   


মমতা তাঁর জবাবে লিখেছেন, ‘তিন দফার ভোটে বিভিন্ন জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এই নিয়ে প্রায় ১৫০টি অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বাহিনীর কোনও সদস্যের বিরুদ্ধেই কমিশন গুরুতর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। উলটে রাজ্য পুলিশের একের পর এক আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’


ব্যাখ্যায় নির্বাচন কমিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘দেশকে সুরক্ষিত রাখতে আধা সামরিক বাহিনীর ভূমিকাকে সম্মান করি। তবে ৬ এপ্রিল তারকেশ্বরের রামননগরে এক শিশুকন্যাকে  শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে অজ্ঞাতপরিচয় জাওয়ানদের বিরুদ্ধে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এফআইআর হয়েছে থানায়। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন। 

আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন অমিত শাহ’, শীতলকুচির ঘটনায় সরব মমতা

মমতার দাবি, ‘আমি শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘেরাও করতে বলেছি।’আমার ভাষণে বলেছি, ভোটাধিকারে বাধা দেওয়া হলে ভোটারদের বিশেষ করে মহিলাদের গণতান্ত্রিকভাবে ঘেরাও করতে বলেছি। প্রতিবাদের একটা গণতান্ত্রিক মাধ্যম ঘেরাও। তা কোনওভাবেই বেআইনি নয়।  এটি বাংলায় একটি পরিচিত শব্দ। অহিংস অবস্থানকে ঘেরাও বলে। গণতান্ত্রিক দেশের সমস্ত নাগরিকের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্যই একথা বলেছেন তিনি।

Related posts

তাপপ্রবাহের বিদায় নেওয়ার পালা, এ বার কালবৈশাখীর বিশেষ সতর্কতা

বিদ্যুতের মাশুল কি সত্যিই বেড়েছে? না কি রাজ্য সরকারের ‘বদনাম’ করতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো চর্চা!

লোকসভা ভোটের কারণে কি জামিন পাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল? তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের