কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সৌজন্যের সমীকরণে বদল আসার ইঙ্গিত! রাজ্যপাল যদি রীতি এবং সৌজন্য সীমা লঙ্ঘন করেন, তা হলে তাঁকে তাঁর ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে। রাজভবনের উদ্দেশে এমনটাই বার্তা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের।
রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সৌজন্য বজায় রাখার পথেই হেঁটেছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যপালের তরফেও শাসক শিবিরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু এ বার সেই সমীকরণে বদল আসার ইঙ্গিত মিলছে।
রাজ্যপালের গত কয়েকদিনের নানা পদক্ষেপ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য রীতিমতো অস্বস্তিকর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ তোলার পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে। সুকান্ত মজুমদার রাজভবনে গিয়ে দেখা করার পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যকে উদ্দেশ্য করে কড়া বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন। এরই মধ্যে প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের এই সব কাজ নিয়েই নতুন বিতর্ক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “যাঁরা ধনখড়কে পাঠিয়েছিলেন, তাঁরাই তো সিভি আনন্দ বোসকে পাঠিয়েছেন। দু’জনের কর্মপদ্ধতি আলাদা হলেও উৎস তো একই। দু’জনের উদ্দেশ্য আলাদা হবে এটা ভেবে নেওয়া ঠিক হবে না”।
অদূর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কুণালের ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য, “রাজ্যপাল যতদিন সৌজন্য বজায় রাখবেন, নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করবেন, ততদিন পর্যন্ত পালটা সৌজন্য দেখানো হবে। কিন্তু রাজ্যপাল যদি রীতি বিরুদ্ধভাবে রাজ্যের সমালোচনা বা নজরদারি করার চেষ্টা করেন, বা অন্য রাজ্যের আইপিএসদের অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ দুটোই বদলাতে হবে”।
নন্দিনী চক্রবর্তীর সম্ভাব্য অব্যাহতি নিয়েও ক্ষুব্ধ তৃণমূল। এ ব্যাপারে কুণাল বলেন, “তাঁকে যদি অস্বাভাবিক কারণে সরানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে পর্দার আড়ালে অস্বাভাবিক কিছু হচ্ছে।”