ডেস্ক: পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ভয়াবহ দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ। মিল্লাত এক্সপ্রেস এবং স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এখন পর্যন্ত মৃত কমপক্ষে ৩০, আহত ৫০-এর বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। ট্রেনের মধ্যে এখনও ১৫ জন আটকে আছেন বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারীদের। তার জেরে আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।
যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয় উদ্ধারকাজ। স্থানীয় প্রশাসন ও রেলের কর্তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। দুর্ঘটনায় মৃতদের দেহ উদ্ধার করা হয়। জখম যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। উদ্ধারকাজে প্রশাসনের সঙ্গে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও।
জানা গিয়েছে, সোমবার সাকলে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি জেলার ধারকির কাছে এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুত মিল্লাত এক্সপ্রেসে ধাক্কা দেয় তগামী স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেস । বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ট্রেনের যাত্রীদের আর্তনাদে আশপাশের এলাকা থেকে ছুটে আসেন বাসিন্দারা। স্থানীয়রাই প্রথম উদ্ধারকাজে হাত লাগান।
আরও পড়ুন: কমল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু, নতুন রেকর্ড করল অ্যাক্টিভ কেস হ্রাসের সংখ্যা
ঘোটকির ডেপুটি কমিশনার উসমান আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫০ জন আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় ১৩ থেকে ১৪ টি বগি উলটে গিয়েছে। ছয় থেকে আটটি বগি ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ট্রেনের ভিতর একটি বগিতে এখনও যাত্রীরা আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বড় যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের উদ্ধার করার কাজ যথেষ্ট সমস্যার। রোহরি থেকে রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
আহতদের ঘোটকি, ধারকি, ওবারো এবং মীরপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘোটকির ডেপুটি কমিশনার জানান ওসমান আব্দুল্লাহ জানান, ট্রেনের বগিগুলো উল্টে যাওয়ায় উদ্ধারকার্যে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে প্রশাসন সর্বত ভাবে চেষ্টা করেছে।