ডেস্ক: বিধানসভায় শূন্য বামেরা। কংগ্রেস, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে উল্টে নিজেদের ভোটই তলানিতে নেমেছে লাল শিবিরের। অপরদিকে, তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতেও আপত্তি নেই বামেদের। যে তৃণমূল একদিন ঘোষিত শত্রু ছিল, বিজেপিকে রুখতে এবার কি তারই হাত ধরবে CPI(M)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করবেন বিমান বসুরা, সূর্যকান্ত মিশ্ররা? এই বিষয়টি সাফ করে দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
তৃণমূল যদিও বামেদের নতুন এই অবস্থানকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। তবে যদি বিজেপির বিরুদ্ধে জোটে শামিল হয়ে সিপিএম লড়তে চায়, সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোডম্যাপ ধরেই তাদের লড়তে হবে, এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রবীণ এই বাম নেতা বলেন, “সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।”
বিমান বসু বলেন, ‘সর্বভারতীয় স্তরে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা, কোহিমা পর্যন্ত বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের ক্ষেত্রে যে কারও সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমরা।’ তৃণমূলের নাম আলাদা করে মুখে না আনলেও তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, সেই আন্দোলনে তৃণমূল থাকলেও কি আপনারা যোগ দেবেন তাতে? বিমানের উত্তর, ‘বিজেপি বিরোধী যে থাকবে, তাঁদের সকলের সঙ্গেই বামেরা কাজ করতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় আটক প্রশান্ত কিশোরের টিম, হোটেল বন্দি করে রাখার অভিযোগ
স্পষ্টতই এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম না নিলেও বিমানবাবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে দিল্লির রাজনীতির নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেও হাত মেলাতে রাজি। কিন্তু তৃণমূল কি রাজি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য নির্বাচনের আগেই একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ভোটের পর বামেরা শূন্য হয়ে যাওয়ায় তাই এখন হাত মেলানো ছাড়া তাদের কাছে অন্য কোনও বিকল্পও নেই, এমনটাই মনে করছে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল প্রসঙ্গে বিমান বসুর এই নরম সুরই রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনার জন্ম দিয়েছে। বিমান বসুর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অনেকদিন আগে থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে সবাইকে এক হতে বলছেন। বিলম্বিত বোধদয়।’