ডেস্ক: গোটা বাংলাকে প্রণাম জানিয়ে শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষা করে কাজ শুরু করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বস্ত করে তিনি জানালেন, লকডাউন জারি হচ্ছে না এখনই। কিন্তু মানুষকে করোনা আটকাতে লকডাউনে যা যা করণীয় তা মাথায় রেখেই কাজ করতে হবে।
‘মানুষের জন্য কাজ করব বলেছিলাম, কাজ চলবে’, সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন মমতা। এদিন মমতা বলেন, এই জয় উন্নয়ন, শান্তি, সম্প্রীতির জয়। আমরা বিভেদ চাই না, আমরা ঐক্য চাই। এই বার্তা আমরা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা মনে করি আমরা ৯৫ ভাগ মানুষকে উন্নয়নের আওতায় আনতে পেরেছিলাম। দুয়ারে রেশন থেকে শুরু করে সব কাজই একটু একটু করে করব। তবে অগ্রাধিকার করোনাই।
”চিফ সেক্রেটারির নেতৃত্বে আঐজই একটা ক্যাবিনেট গঠন করা হয়েছে। হোম, ফাইনান্স, হেলথ, এবং ইন্ডাস্ট্রির সেক্রেটারিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকটি পলিসির ব্যাপারে এখন থেকে কাজ করবে। যে প্রতিশ্রতি আমরা দিয়েছি, সেগুলি পূরণ করা হবে কোভিডের পর। পেনশন, স্কলারশিপের মতো টাকা যেন আটকে না থাকে সেদিকটায় জোর দেওয়া হবে”।
করোনা মোকাবিলা
কোভিড মোকাবিলাকেওই যে সরকার সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে, তা এদিন ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কোভিড মোকাবিলাতেই এখন অগ্রাধিকার। কোভিড হাসপাতালে জন্য একটা বিল্ডিং দিচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স।’প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকে অক্সিজনে সেন্টার করার নির্দেশ দিচ্ছি। এখন ৩০ হাজার বেড হয়ে গিয়েছে। বহু কর্পোরেট সেক্টর আমাদের সাহায্য করেছে।
একইসঙ্গে, কোভিড-যুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করলেন তিনি।
বহু হোটেল বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছে। আমরা চাইব কর্পোরেটরা আমাদের সাহায্য করুক। সেই টাকায় আমরা বেড বাড়াতে পারব। গোটা টাকাটাই অডিট হবে।
”আমি অনুরোধ করব, যেন কর্পোরেট সেক্টর সাহায্যের হাত বাড়ায়। শুধু টাকা নয়, তাদের সাধ্যমত যে ভাবে তাড়া সাহায্য করতে পারে, তার জন্য যেন এগিয়ে আসে। মনে রাখবেন, যে টাকা দেওয়া হবে। তা অডিট করা হবে। আমার কাছে আসবে না। তা পুরোটাই ফাইনান্স ডিপার্টমেন্ট দেখবে”।
আরও পড়ুন: আড়ম্বরহীন শপথগ্রহণ মমতার মন্ত্রিসভার, ভার্চুয়াল শপথ অমিত, ব্রাত্য, রথীনের
অনেকেই ইতিমধ্যেই অক্সিজনে দিয়েছে। আমাদের প্রয়োজন ৫৫০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। তিন কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম। কোভিড সরঞ্জামে জিএসটি নেওয়া উচিত নয়। সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ করলেই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দিতে পারে।
উৎসব ও সার্বিক উন্নয়ন
সামনেই ইদ। কোভিড পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘ইদে ৫০ জনের মধ্যে জমায়েত করুন।’ তিনি বলেন, পেনশন, কৃষকের টাকা, স্কলাশিপ কিছুই আটকাবে না। স্কুল, মেডিক্যাল কলেজ বাড়াতে হবে। আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসীর বেঁচে থাকার মানের সার্বিক উন্নয়ন করতে পারি।