গড়াল ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেসের চাকা

দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ফের গড়াল ভারত বাংলাদেশ ট্রেনের চাকা। ভারত ও বাংলাদেশকে যেন একসূত্রে বেঁধে রেখেছে এই বন্ধন এক্সপ্রেস। এই ট্রেন দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। তবে করোনা মহামারী আছড়ে পড়ার পরপরই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় ২০২০-এর ১৫ মার্চ থেকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী এই ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।

আজ কলকাতা স্টেশন থেকে ফের চালু হল দুই দেশের মধ্যে যাতাযাতকারী ট্রেন দুটি।এখন থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচদিন মৈত্রী ও দুদিন বন্ধন এক্সপ্রেস চলবে। বন্ধন ট্রেনে দুটি ক্লাস আছে। একটি হচ্ছে চেয়ার কার,যার ভাড়া ৮০০ টাকা। আর একটি এক্সিট প্লাস, ভাড়া ১২০০ টাকার কাছাকাছি। করোনর পর আজ প্রথম দিন বলে ট্রেনগুলিতে যাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, করোনা অতিমারির জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল এই ২ টি ট্রেন। সমস্যায় পড়ছিলেন যাত্রীরা। কিন্তু এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে করোনা সংক্রমণ। তাই পুনরায় ভারত-বাংলাদেশ ট্রেন গুলি চালু করা হল। মূলত দুই দেশের যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ভারত এবং বাংলাদেশের তৃতীয় ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেসও চালু করা হবে। সব রকম ব্যাবস্থা নেওয়া প্রায় শেষের পথে। আগামী ১ জুন থেকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলবে এই ট্রেনটি। ইতিমধ্যেই মিতালি এক্সপ্রেসের প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে কলকাতা স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর দুপুরেই বাংলাদেশের খুলনায় পৌঁছে যাবে ট্রেনটি। দুপুর দেড়টায় ফের খুলনা স্টেশন থেকে বন্ধন এক্সপ্রেস কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। কলকাতা থেকে খুলনার মধ্যে দূরত্ব ১৭২ কিলোমিটার। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশে ৯৫ কিলোমিটার ও ভারতের দিকে পড়েছে ৭৭ কিলোমিটার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের বেনাপোলে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।

Related posts

আজও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা

আজ রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা, বিশেষ ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা

প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সোমবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে