ডেস্ক: ৫৩ বছর পর ইউরোপের সর্বশ্রেষ্ঠ দল হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করল ইটালি। ১৯৬৮ সালের পর ফের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নিলে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দল। ১৯৬৬ সালের পর ইংল্যান্ড প্রথম কোনও মেজর টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ বা ইউরো কাপ) ফাইনালে উঠেছিল। শাপমুক্তি হল না তীরে এসে তরী ডুবল।
শুরুর মাত্র দুই মিনিট লিউক শ-এর গোলে শরুতেই পিছিয়ে পড়ে ইতালি। তবে অতীতেও বারংবার মুশকিল পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে ইতালি। ইউরো ফাইনালের মঞ্চও সেই লড়াইয়েরই সাক্ষী থাকল। পেনাল্টিতে অবশেষে ম্যাচ জিতে নেয় ইতালি।
রবিবার ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল টুর্নামেন্টের দুই অন্যতম ফেভারিট দল ৷ ইতালির এবারের টুর্নামেন্টে আগাগোড়া দুর্দান্ত খেললেও পিছিয়ে ছিল না ইংল্যান্ডও ৷ ফাইনালের মহারণ নির্ধারিত নব্বই মিনিট পর্যন্ত অমীমাংসিত (১-১) থাকে। লুক শ ম্যাচের ২ মিনিটের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে লিওনার্দো বোনুচি ইটালিকে সমতায় ফিরিয়ে দেন। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। সেখানেও কোনও ফলাফল না হওয়ায়, কাপ যুদ্ধের ফয়সলা হয় পেনাল্টি শুটআউটে।
আরও পড়ুন: কোপা আমেরিকা : ২৮ বছরের খরা কাটল আর্জেন্তিনার, মেসিরও
শেষপর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুট-আউটে ম্যাচ হেরে হতাশ হ্যারি কেনরা ৷ শাপমুক্তি এবারও হল না ৷ বাজিমাত করে দেন ইটাসলির তরুণ গোলরক্ষক ডোনারুমা। পেনাল্টিতে ইটালিকে ৩-২ ম্যাচ জিতিয়ে দেশের নায়ক হয়ে যান তিনি। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে।