ওয়েবডেস্ক : অতিমারীর দাপটে আমরা এখন সবাই ছুটছি “ইমিউনিটি” বাড়াতে। আমাদের শব্দকোষে এই শব্দটির এখন বহুল প্রয়োগ। সত্যিই কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
শুধু করোনা নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে একজন মানুষ খুব সহজেই যেকোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। তা এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কী কী করতে হবে আমাদের?
খুব সহজ। মাথায় রাখুন এই ৫টি টিপস…… বিশেষত মহিলাদের জন্য এই ফিটনেস রেজিম খুব উপকারি৷
স্নান করা মাস্ট- শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা নিয়মিত স্নান করতেই হবে। না হলেই ক্ষতিকর সব ব্যাকটেরিয়ার খপ্পরে পড়তে হবে। আর এমনটা হলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে বোঝাতে হবে না।
আবার স্নানের সময় খেয়াল রাখুন সাবান ভালো করে ধুয়ে গেছে কিনা। সাবান শরীর থেকে ধুয়ে না গেলে, দিনের পর দিন শরীরের ইতিউতি সাবান জমতে জমতে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
শরীরচর্চা- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অ্যানারবিক এক্সারসাইজ অভ্যাস করতে পারেন। এমনকি যাঁরা হার্টের সমস্যায় ভুগছেন বা আরথ্রাইটিসে ভুগছেন, তারাও স্ট্রেংথ ট্রেনিং করলে উপকার পাবেন৷ স্ট্রেংথ ট্রেনিং করলে তাড়াতাড়ি আপনার ওজনও কমবে, ওজন চমত্কার নিয়ন্ত্রিতও থাকবে৷
মোটামুটি সপ্তাহে তিন দিন অভ্যাস করলেই অনেক উপকারিতা পাবেন৷ শরীরের মাসল গুলিও টোনড হয়ে উঠবে৷
কমপক্ষে ২ মিনিট ব্রাশ করতে হবে- একথা হয়তো অনেকেরই জানা নেই যে আমাদের মুখগহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে হলে কম করে ২ মিনিট ব্রাশ করার প্রয়োজন রয়েছে। এর থেকে কম সময় ব্রাশ করলে সব জীবাণুরা মারা পরে না। ফল- দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ।
আরও পড়ুন : শরীরে বাসা বেঁধেছে মধুমেহ? নিয়মিত পরীক্ষা করাতে হবে চোখ!
মাছ-মাংস কাটার ছুরি আলাদা- মাছ-মাংস এবং সবজি কাটার জন্য আলাদা আলাদা ছুরির ব্যবহার করতে হবে। যে ছুরি দিয়ে মাংস কাটা হয়েছে, সেই একই ছুরি দিয়ে সবজি কাটা চলবে না! চপিং বোর্ডও আলাদা ব্যবহার করার প্রয়োজনও রয়েছে।
এক্ষেত্রে আরেকটি জিনিসও মাথায় রাখতে হবে। কাঁচা মাংস কখনই রান্না ঘরের বেসিনে ধোবেন না। কারণ এমনটা করলে রান্নার জায়গায় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রস্রাব চেপে থাকার ভুল নৈব নৈব চ- বেশিক্ষণ প্রস্রাব চেপে থাকার ভুল কাজটা কখনও করবেন না যেন! এমনটা করলে শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনি ‘ইউ টি আই’ এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও যায় বেড়ে।