ওয়েবডেস্ক : জানেন কী স্রেফ জলপান করেই বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব? কীভাবে? খাবার খাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে আধ লিটার জল পান করলে মেটাবোলিজিমের হার প্রায় ২৪ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়।
অন্যদিকে খাবার খাওয়ার পরিমাণও কিছুটা কমে। এ ভাবে ৪০ শতাংশ ওজন কমাতে পারেন। মেদ ঝরাতে কফির বিকল্প নেই। তবে অনেকটা চিনি বা সুগার ফ্রি দেওয়া কফি পান করলে ভালর থেকে মন্দ বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
ব্ল্যাক কফির ক্যাফিনে মেটাবলিজমের হার ৩ থেকে ১১ শতাংশ বেড়ে যায়। ১০ থেকে ২৯ শতাংশ মেদ কমতে পারে এতে। দিনে ২ কাপ গ্রিন টি পান করুন। এর শক্তশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দেয়। তবে চিনি বা সুগার ফ্রি দেবেন না।
আরও পড়ুন : কাজপাগলদের মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভবনা, বলছে সমীক্ষা!
এই সমস্যা সমাধানের আরও একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’। দু’টি খাবারের মাঝে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। রাতে এই নিয়ম মেনে চলা খুব কঠিন নয়। সন্ধে ৭টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলুন। পরদিন সকাল ৮টা-৯টায় পেট পুরে ব্রেকফাস্ট করুন।
সপ্তাহে ১ দিন এই নিয়ম ভাঙতে পারেন। তবে ডায়বিটিস বা পেপ্টিক আলসারের মতো সমস্যায় এই ডায়েট চলবে না। এই ডায়েট শুরুর আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বলছেন দেবকিশোর গুপ্ত।
রোজকার ডায়েট থেকে চিনি বাদ দিন। দিনে ২৫ গ্রাম বা ৬ চা চামচের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। একটা ঠান্ডা পানীয়ের ক্যানে ৯ চা চামচ চিনি থাকে। রাস্তার ভাঁড়ের চা, বা রসগোল্লার চিনির পরিমাণ জানলে আঁতকে উঠতে হয়! বলছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মানস চক্রবর্তী।
ময়দা, সুজি, কর্নফ্লেক্স খাবারের তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিন। রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি খাবারের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। বলছেন ইন্দ্রাণী ঘোষ।
কমিয়ে দিন ভাত, রুটি, মুড়ি, বিস্কুট, কর্নফ্লেক্স, সুজি, চিঁড়ে খাবার পরিমাণও।
খিদে পেলে বাদাম, ফল, দই বা ডিম সিদ্ধ খেলে ওজন কমবে।
রোজকার খাবারে থাকুক টাটকা থেঁতো করা গোলমরিচ। এতে মেটাবলিজম বাড়ে, ওজন কমে।
রাতে কমপক্ষে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমান। কম হলে মেদ বাড়বে।
প্রতিদিন আধ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ৫ দিন এক্সারসাইজ করুন।