পাকিস্তানের সন্ত্রাস এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে যে বহুদলীয় সংসদীয় দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র, তা ঘিরে দু’দিন ধরে চলা বিতর্কের অবসান ঘটল মঙ্গলবার। শেষপর্যন্ত ঐকমত্যে পৌঁছল কেন্দ্র ও তৃণমূল। দলের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়। এরপরেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়— তৃণমূলের তরফে অভিষেকই যাবেন সংসদীয় দলে। অভিষেকের নাম প্রস্তাব করেন মমতা নিজেই।
এর আগে কেন্দ্রের তরফে দলের কোনওরকম অনুমতি ছাড়াই বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসাবে বেছে নেওয়া নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা এবং অভিষেক। তাঁরা স্পষ্ট করে দেন, দলের কে যাবে তা সিদ্ধান্ত নেবে দল, কেন্দ্র নয়। এরই প্রেক্ষিতে পাঠানের নাম ফিরিয়ে নেয় কেন্দ্র।
রিজিজুর সঙ্গে ফোনে মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন যে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেন্দ্র কীভাবে প্রতিনিধি নির্বাচন করে। আলোচনার মাধ্যমে সেই মতবিরোধ মেটানো সম্ভব হয়।
বিদেশনীতির বিষয়ে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিলেও, দলীয় বিষয়ে স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার বিষয়টিতে অনড় থাকে তৃণমূল। দিল্লিতে সোমবার রাতে অভিষেক জানান, “বয়কট নয়, কিন্তু আমাদের প্রতিনিধি কে হবেন, তা ঠিক করবে দল। কেন্দ্র চাইলে এক ঘণ্টার মধ্যে পাঁচজনের নাম দিতে পারি।”
সব মিলিয়ে দুই পক্ষের আলোচনার ফলেই বরফ গলল। অভিষেকের হাত ধরে এবার তৃণমূলও থাকছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই আন্তর্জাতিক প্রচারে।