ডেস্ক: নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিধানসভা নির্বাচনের পর সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানাবেন বলেও সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, কমিশনের কাছে কোনও বিচার আমরা পাচ্ছি না। বিজেপি-র কথা উঠছে বসছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির কথাতে ভোট করাচ্ছে ওরা।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম বাকি দুটো দফা একসঙ্গে করে নির্বাচন প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব শেষ করে দিন। করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপ। কিন্তু, বিজেপি-র কথা শুনে ৮ দফায় নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন’। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি এই বিষয়ে অনেকটা বড় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, রাজ্যে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে ভোট করানোর আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জানাবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, শুধু বিজেপি-কে বাংলা দখল করানোর জন্য কমিশন এখানে এত দফায় ভোট করালো। আমি জানি কার নির্দেশে ঠিক কী ঘটছে। সব খবর পাই আমি। বিজেপি এমন করছে যেন জিতে গিয়েছে। কমিশেন থেকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আমার দলের নেতাদের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করা হোক। আমার কাছে সব কিছুর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আছে।
আরও পড়ুন: অক্সিজেনের অভাবে দিল্লির হাসপাতালে ছটফট করতে করতে ২০করোনা রোগীর মৃত্যু
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বেশ কিছু কাগজ তুলে ধরে দাবি করেন, সেগুলি হল তিন পর্যবেক্ষকের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকা প্রশাসনিক আধিকারিকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। মুখ্যমন্ত্রীর সেইসব চ্যাটে জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের ভোটের আগে গ্রেফতারের কথা বলা হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বলে উল্লেখ করেছেন তাঁদের চ্যাটে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে থানা ঘেরাও করুন। প্রয়োজনে আদালতে যান। নেতাদের আটক করলে পাল্টা এফআইআর করুন।’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমরা শিল্পের কাজে ব্যবহার হওয়া অক্সিজেন রোগীদের কাজে ব্যবহার করব। আমরা কেন্দ্রের কাছে আবেদন করছি টিকার দাম এক রাখুন। সমস্ত নাইট্রোজেন ও অন্যান্য ট্র্যাঙ্কার গুলোকে অক্সিজেন লোডিং করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে’।