ডেস্ক: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর প্রথমবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বক্তব্য শুরুতেই মমতা বলেন, আমি হিংসার পক্ষে নয়। আমি শান্তির পক্ষে। ৯৯% ফেক ভিডিও ছড়াচ্ছেন। আমাকে এক সংঘের নেতা এস এম এস করে মহিলা অত্যাচার হয়েছে বলেন। সেই মেয়ে তো আমার বাংলার। আমি খবর নিয়ে দেখলাম এমন ঘটনা ঘটেনি।
রাজ্যের যেখানে যেখানে সন্ত্রাস করছেন বন্ধ করুন। ফেক ভিডিও পোস্ট করা বন্ধ করুন। রাজ্যে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিও যারা করছেন তাদের এসব বন্ধ করতে বলছি। এর পরেও যারা এসব করবে তাদের বিরুদ্ধে আইন আইনের পথে ব্যবস্থা নেবে। এখন রাজ্যে করোনা চলছে। মিটিং, মিছিল বন্ধ। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা বন্ধ রেখেছি।৫০ জনের জমায়েত নিয়ে সেটা হবে। রেড রোডে ঈদের নামাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু কেউ এর মধ্যেও কোনও নিয়ম না মেনে মিছিল করছে। আমি পুলিশকে বলছি যারা মিছিল করছে তাদের বিরুদ্ধে মহামারী আইনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিন।”
হিংসা রুখতে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘কেউ কেউ এমন কথা বলছে যে গা শিউরে উঠছে। মনে হচ্ছে, উত্তেজনায় সামনে পেলে ভালো করে গায়ে বুলিয়ে দিতাম।’একটা মেয়েকে অসম্মান কেন করলেন? জনগণের জয় তারা সহ্য করতে পারছে না।
বিধায়কদের বলব, এলাকায় যেন কোনও অশান্তি না হয়। কেউ দাঙ্গা করতে চাইলে এফ আই আর করবেন। আরও বিনম্র হতে হবে। জনগণের কাছে পৌঁছতে হবে। করোনা রোগীদের সাহায্য করুন। আমাদের এবারে ভালো কাজ করতে হবে। মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা। কোভিডে সাহায্য করা। যাতে অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখবেন। কোনও দাঙ্গাবাজ দের রেহাই নয়। কোভিড আমাদের সবচেয়ে বড় প্রায়োরিটি।
আরও পড়ুন: বিধানসভার অধ্যক্ষ হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য বিধানসভার একটা নিজস্বতা আছে। এই বিধানসভায় অনেক ঐতিহাসিক বিল পাস করেছে। বাংলার মা-বোনেদের জন্য কাজ করবে নতুন সরকার। এই ভোটে আমরা তরুণ প্রজন্মর সমর্থন পেয়েছি। এদিন কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে পাইপ দিয়ে যেন টাকার স্রোত বওয়ানো হয়েছে। এই টাকায় ভারতের সবাইকে নিখরচায় ভ্যাকসিন দেওয়া যেত।
ভ্যাকসিন ও অক্সিজেনের ঘাটতির কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেন এদিন বিধানসভায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনা ভ্যাকসিন আমি বিনা পয়সায় রাজ্যের মানুষদের দেব বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির উত্তর পাইনি। অক্সিজেন চাহিদার তুলনায় কম রয়েছে রাজ্যে। বারবার বলার পর কেন্দ্র সেটা দিচ্ছে না। ভ্যাকসিন , অক্সিজেন কেন্দ্রের হাতে। রাজ্য চাইলেই সেটা নিতে পারে না। কেন্দ্রের এখানে ভূমিকা আছে। আমাদের রাজ্য থেকে ভিনরাজ্যে অক্সিজেন নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা অক্সিজেন, ভ্যাকসিন পাচ্ছি না। কী দোষ করেছে বাংলা? কেন এরকম করা হচ্ছে?”