ফের একবার যোগীরাজ্যে ঘটল গণহত্যার ঘটনা। ফের একবার উদ্ধার হল একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃতদেহ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে ফের একবার শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশ জুড়ে। দু’বছরের এক শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে কুপিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের থরবই থানার অন্তর্গত খেবরাজপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ এবং নাতনিকে খুন করেছে। মৃতেরা হলেন, রামকুমার যাদব(৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী(৫২), মেয়ে মনীষা(২৫), পুত্রবধূ সবিতা(২৭) এবং নাতনি মীনাক্ষী(২)।
ফের একবার ভয়ানক নৃশংসতার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। দু’বছরের শিশুকন্যা-সহ একই পরিবারের পাঁচজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল শিবরাজপুর গ্রামে। জানা যাচ্ছে, এক প্রৌঢ় দম্পতি, তাঁদের মেয়ে, পুত্রবধূ, ও নাতনিকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। একমাত্র পাঁচ বছরের এক শিশুকন্য়া প্রাণে বেঁচেছে। খুনের পর আক্রান্তদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ কুকুরকে ব্যবহার করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দলও। ঘটনাস্থল থেকে নাতনি সাক্ষীকে(৫)জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাতনির চোখেমুখে তখনও ফের আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে রামকুমারের বাড়ি থেকে প্রচণ্ড ধোঁয়া বেরোতে দেখেন তাঁরা। ঘরে আগুন লেগেছে এই আশঙ্কা করে বেশ কয়েক জন মিলে রামকুমারের বাড়িতে ঢুকতেই আঁতকে ওঠেন। তাঁর দেখেন চার ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পাঁচ জনের রক্তাক্ত দেহ। একটি ঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। বাড়িরই এক কোণ থেকে রামকুমারের বছর পাঁচেকের নাতনিকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। তাঁর চোখেমুখে তখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে ওই বাড়ি থেকে পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। হত্যাকারীদের খুঁজে বার করতে একটি বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য দাবি জোরালো হচ্ছে এলাকায়।এক সপ্তাহ আগে এই প্রয়াগরাজ থেকেই একই পরিবারের পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। গত ১৬ এপ্রিল নবাবগঞ্জের খাগলপুর গ্রামে এক মহিলা এবং তাঁর তিন মেয়েকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ঝুলন্ত অবস্থায় মহিলার স্বামীর দেহ মেলে। সেই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে পাঁচ জনকে। কিন্তু কেন খুন করা হল, কারাই বা খুন করল সেই উত্তর খোঁজার কাজ শুরু করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, রামকুমারের পাঁচ বছরের নাতনিকে কেন ছেড়ে দিল দুষ্কৃতীরা। পরিচিত কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কি না তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।