পাহাড়ের উন্নয়ন এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে এক বড় পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর উন্নয়নের স্বার্থে সবকটি উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে, নতুনভাবে গঠিত এই বোর্ডগুলির কার্যক্রম তদারকি করতে একটি আলাদা মনিটারিং সেল গঠনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রিচমন্ড হিলে জিটিএ, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং উন্নয়ন বোর্ডগুলির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী দেড় মাসের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সবকটি উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠন করা হবে। সেই সঙ্গে উন্নয়ন কাজে গতি আনতে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে এই বোর্ডগুলির ওপর নজরদারির জন্য একটি মনিটারিং সেলও তৈরি করা হবে।
এবারে মনিটারিং সেলের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বে থাকবেন জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা এবং মিরিক পুরসভার প্রশাসক এলবি রায়। এই সেলের মাধ্যমে নিয়মিত অডিট হবে বোর্ডগুলির কাজের।
পাহাড়ে উন্নয়ন কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মধ্যে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে তোলার জন্য চারটি স্কিল সেন্টার নির্মাণের ঘোষণা রয়েছে, যেখানে কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও, একটি বড় মার্কেট কমপ্লেক্স, পার্কিংয়ের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।
জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, “দিদি যখন পাহাড়ে আসেন, তখন উন্নয়নের উপহার নিয়েই আসেন। আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে রয়েছি এবং পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে আমরা আশাবাদী। অশান্তি নয়, এখন শুধু উন্নয়ন চাই।”