প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে ভ্রমণে আসেন— কেউ আধ্যাত্মিক শান্তির খোঁজে, কেউবা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস যেমন বাঞ্জি জাম্পিং বা রিভার রাফটিংয়ের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে। যদিও রাফটিং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাক্টিভিটি, তবুও নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ বারবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
সম্প্রতি এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আবারও সেই আশঙ্কা ফিরে এসেছে। দেরাদুনের বাসিন্দা ২৮ বছরের সাগর নেগি গঙ্গায় রাফটিং করতে এসে প্রাণ হারান। দুর্ঘটনাটি ঘটে Oহরি জেলার মুনিকি রেতি এলাকায়, যেখানে শিবপুরী থেকে রাফটিং শুরু হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যে নৌকায় সাগর সহ আরও কয়েকজন ছিলেন, সেটি নদীর তীব্র স্রোতে ভারসাম্য হারায়। গরুড় ছট্টি ব্রিজের কাছে সেই সময় সাগর জলে পড়ে যান। অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি যেহেতু জলকেন্দ্রিক, তাই অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সাগর প্যাডেল ধরেই নৌকায় উঠতে চেষ্টা করছেন, অন্যরাও সাহায্যের চেষ্টা করছেন। কিন্তু নদীর প্রবল স্রোত তাঁকে টেনে নিয়ে যায়। ভিডিওটি ১৮ এপ্রিল আপলোড হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যেই ৩,০০০-র বেশি ভিউ হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র রিপোর্ট অনুযায়ী, সাগর নেগি জলে পড়ার পর অচেতন হয়ে যান। এক রাফটিং গাইড এবং অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয় ও সিপিআর দেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর যোগেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, মোট ছয়জনের একটি দল মুনি কি রেতি এলাকায় রাফটিং করছিল। তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তপোবনের আউটপোস্ট ইনচার্জ প্রদীপ রাওত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যটকদের রাফটিং করার সময় সমস্ত সুরক্ষা বিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।