কৃষ্ণনগরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে এসেছে, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিককে গোপনে বিয়ে করেছিলেন। যদিও তরুণীর মা শুক্রবার দাবি করেছেন, ওই পোস্টের বিষয়ে তিনি কিছু জানতেন না। তবে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঠিক যে হয়েছিল তা তিনি মেনে নিয়েছেন। অভিযুক্ত যুবকের বাবাও ‘বিয়ে হয়েছিল’ বলে মানতে চাননি।
তবে ঘটনা এখানেই থেমে নেই। তৃতীয় এক তরুণীকে কেন্দ্র করে যুগলের মধ্যে শুরু হয়েছিল অশান্তি, যা ধীরে ধীরে বিরাট আকার নেয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৫ জুন ফেসবুক রিলেশনশিপ স্টেটাস বদল করে তরুণী লিখেছিলেন, ‘ম্যারেড উইথ…’। এমনকি, তাঁর ফোনে প্রেমিকের নম্বর সেভ করা ছিল ‘হাজব্যান্ড’ নামে। এই তথ্য থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, প্রেমিকের সঙ্গে গোপনে বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন তরুণী।
অশান্তির সূত্রপাত সম্ভবত তৃতীয় একজন তরুণীকে কেন্দ্র করে। সূত্র বলছে, মৃত তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে ওই তরুণীর প্রবেশে অশান্তি চরমে পৌঁছায়। ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর দিনভর একাধিক জায়গায় একা ঘুরতে দেখা যায় তরুণীকে। রাতে কলেজ মাঠের আশেপাশে তাঁকে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে।
এদিকে, ওই দিন ধৃত যুবক রানাঘাটে এক বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলেন বলে ঘটনায় প্রকাশ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্পর্কের অবনতি ঘটে, যা নাবালিকার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে একাংশের অনুমান।
তদন্তকারীদের ধারণা, প্রেমিক যুগলের মধ্যে অর্থনৈতিক নয়, বরং তৃতীয় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করেই অশান্তির সূত্রপাত হয়। বিচ্ছেদের জেরেই কি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তরণী? না কি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ঘটনার দিন তরুণী কোনও দোকান থেকে কেরোসিন কিনেছিলেন কি না। মৃত্যুর পূর্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া তাঁর স্টেটাসে লেখা ছিল, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, যা আত্মহত্যার ইঙ্গিত বহন করছে।
তদন্ত চলছে, তবে এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। খুন না বিচ্ছেদের যন্ত্রণা থেকে আত্মহত্যা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।