ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষিতে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। জুন, জুলাই ও আগস্ট—এই তিন মাস রাজ্যের কোনও জেলায় খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি না থাকে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। রবিবার নবান্নে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
নবান্ন সূত্রে খবর, যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্ভাবনা মাথায় রেখে যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য যাতে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে, তার জন্য এই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় চাল, গমসহ প্রয়োজনীয় রেশন মজুত করতে বলা হয়েছে। বরাদ্দ রেশন তিন দফায় জেলাগুলিতে পাঠানো হবে।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। প্রতন্ত্য এলাকা, জঙ্গল, পাহাড় ও জলপথ—সব জায়গাতেই বাড়ানো হবে পুলিশি টহল। সুন্দরবন ও উত্তরবঙ্গের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় থাকবে বিশেষ নজর।
হাসপাতালগুলিকেও বিশেষ প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের জানানো হয়েছে, জরুরি পরিস্থিতিতে পরিষেবায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে, তার জন্য আগেভাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে দেওয়া হয়েছে উদ্ধার মহড়া চালানোর নির্দেশ। সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের জন্যও রিফ্রেশার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা, পুরনো সাইরেনগুলো চালু করা—সব মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে জরুরি প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু।
নবান্নের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ফাঁক না রাখতে আগাম পরিকল্পনাই রাজ্যের প্রধান লক্ষ্য।