মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের শিশু এবং প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচ প্রসূতি। শুক্রবার সকালে তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি চার জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন, এবং তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণার সময় ভর্তি হওয়ার পর অস্ত্রোপচার করা হলেও ভুল স্যালাইন প্রয়োগের কারণে তাঁদের প্রস্রাব ১২ ঘণ্টা বন্ধ হয়ে যায়। এই অভিযোগ বৃহস্পতিবার হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন পাঁচ প্রসূতির স্বামীরা। মৃত প্রসূতির নাম মামণি রুইদাস, বাড়ি গড়বেতা থানা এলাকায়।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দী জানিয়েছেন, রোগীদের চিকিৎসায় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সুপার জয়ন্ত রাউত চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং বাকিদের আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের উদ্যোগে ১০ সদস্যের একটি তদন্তকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন প্রসূতি এবং স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, এবং রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের আধিকারিকরা। শনিবার সকালে এই কমিটি মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করবে।
মৃত্যুর ঘটনার পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি এবং মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা হাসপাতালে আসেন। পরিবারের দাবি এবং তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।