ডেস্ক: এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে আমাকে হাসপাতালে রেখে দিয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাংবাদিকদের কাছে এমনটাই দাবি করেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রতিবাদে গতকাল থেকে তিনি কিছু খাননি বলেও দাবি করেছেন শোভন৷
অভিযোগ, অসুস্থতার অজুহাতে তাঁকে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে৷ কিন্তু তিনি সুস্থ৷ একই অভিযোগ করেছেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখীও৷ শোভন এও বলেন, আমি যেখানে বসবাস করছি সেখানে থাকার আইনি অধিকার রয়েছে। উডবার্নের দোতলার বারান্দা থেকে ঝুঁকে শোভন বলেন, ‘আমার আইনি বিষয় দেখবেন বৈশাখী।’
আইনিভাবে সব ব্যবস্থা হোক সেটাই চেয়েছিলাম। চিকিৎসার ব্যাপারেও সেটাই চেয়েছিলাম।…আমি বন্ড দিয়েও বাড়ি ফিরতে চাই। রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের নাম না করে তিনি বলেন, বেহালার বাড়িতে তিন বছর ধরে উনি আছেন। গত তিন বছর আমার বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা চলছে। সেই মামলা শেষ হলে বেহালার বাসস্থান সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব।
এ দিন নিজের কেবিনের বাইরে বারান্দা থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে একের পর এক অভিযোগ করেন শোভন৷ নারদ কাণ্ডে ধৃত শোভন সহ চার নেতাকেই শুক্রবার গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় সহ এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে ছুটি দিতে রাজি হয়নি হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড৷
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে সুন্দরবনের মধ্যে আঘাত হানবে ইয়াস! উপান্নে খোলা হল Control Room, নজরদারিতে মুখ্যমন্ত্রী
কুণাল ঘোষকে নিশানা করে শোভন জানান, ‘উনি জেলে থাকার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেছিলেন।’ এর পর শোভন জানান, তাঁর আর শারীরিক অসুবিধা নেই। এমনকি তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠিয়ে দেওয়ারও আবেদন জানান তিনি। অভিযোগ করেন, তাঁকে জোর আটকে রাখা হচ্ছে।
প্রাক্তন মেয়রের সিরোসিস অফ লিভারের সমস্যা রয়েছে বলে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে যে দাবি করা হচ্ছে, তাও মিথ্যে বলে দাবি করেছেন বৈশাখী।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, সুস্থ হলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না শোভনকে৷ এমন কি, রিস্ক বন্ডে সই করে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে চাইলেও হাসপাতালের সুপার রাজি হননি বলে অভিযোগ করেন বৈশাখীদেবী৷ এর পাশাপাশি তিনি জানান, শোভনের কোনও চিকিৎসাই হাসপাতালে হচ্ছে না৷ প্রেসার- সুগার মাপার মতো ন্যূনতম পরীক্ষাগুলিও কাল থেকে হয়নি বলে অভিযোগ করেন বৈশাখী৷ তিনিও জানান, প্রতিবাদে কাল থেকে কিছুই খাননি শোভন৷