নয়াদিল্লি: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিনের বন্দিদশা কাটিয়ে অবশেষে জামিনের আলো দেখতে চলেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শর্তসাপেক্ষে পার্থকে জামিন দিতে হবে। তবে জামিনের জন্য আদালত একাধিক বেনজির শর্ত আরোপ করেছে।
জামিনের শর্তাবলি
চার্জ ফ্রেম প্রক্রিয়া: ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রায়াল কোর্টে চার্জ ফ্রেম করার কাজ শেষ করতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান: ২০২৫ সালের জানুয়ারির দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংবেদনশীল প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ডের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
সরকারি দায়িত্ব নিষিদ্ধ: জামিন পাওয়ার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও সরকারি দফতরের দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
বিধায়ক পদে বহাল: বিচারে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে থাকতে পারবেন।
২০২২ সালের ২৩ জুলাই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পরে, ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর সিবিআই-ও একই মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। পার্থর বিরুদ্ধে বারবার জামিন আটকে দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে তাঁকে ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছেন।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বলে পরিচিত আর এক অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে অর্পিতার জামিনকেই হাতিয়ার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মুকুল
পার্থের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলাটি এখনও রয়েছে। সেই মামলা নিম্ন আদালতে বিচারাধীন। এখনও তাতে জামিন পাননি পার্থ। ফলে এখনই তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছে না।