কলকাতা: আজ বুধবার কালীঘাটের বাড়ি থেকেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা, হিন্দি, ইংরাজি , অলচিকি ও নেপালি এই পাঁচ ভাষায় ইস্তাহার প্রকাশ করে তৃণমূল।
ইস্তেহার প্রকাশ করে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক ইস্তেহার নয়, এটা উন্নয়নমূলক ইস্তেহার। এই ইস্তেহার মানুষের দ্বারা, মানুষের জন্য, মানুষের তৈরি।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১১০ শতাংশ কাজ করেছি। যে কাজ করেছি, সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছে। কন্যাশ্রীকে ইউনিসেফ ১ নম্বর প্রকল্পের পুরস্কার দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে আমরাই দেশের মধ্যে প্রথম। বার্ষিক ৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে।’
তিনি জানিয়েছেন, বছরে ৪ বার দুয়ারে সরকারের আয়োজন করা হবে। দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। দেড় কোটি পরিবারে পৌঁছে যাবে রেশন। লক্ষ লক্ষ বিধবা, প্রতিবন্ধীদের মে মাস থেকে ১৮ বছর থেকে কেউ বিধবা হলেই যে সম্প্রদায়ের হোক না কেন মাসিক ১ হাজার টাকা করে বিধবা ভাতা। ৩৫ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে আনা হবে। প্রতি পরিবার বছরে পাবে ৬ হাজার টাকার ভাতা। ওবিসি ও তপসিলিদের পরিবারে বছরে ১২ হাজার টাকার ভাতা। প্রত্যেক পরিবারের ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ।
আরও বলেন, ‘১ কোটি ৭৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছি। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। করোনার জন্য একবছরে অনেক কাজ পিছিয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও অন্য রাজ্যের তুলনায় আয় বেড়েছে। বাংলার বাজেট ৩ গুণ বেড়েছে। রাজ্যের মানুষের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ বেড়েছে। তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে, তখন আমাদের রাজস্ব ছিল ২৫,০০০ কোটি টাকা। এখন সেটা বেড়ে ৭৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে শিল্প হোক, আমি চাই, গোপীবল্লভপুরে মমতা
রাজ্যের প্রতি পরিবারের নূন্যতম মাসিক আয় নিশ্চিত করব। তফশিলি পরিবারকে বছরে ১২ হাজার টাকা। পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ডের ব্যবস্থা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চলবে। কৃষকদের বার্ষিক ভাতা ১০ হাজার টাকা করা হবে। বাংলা আবাস যোজনায় আরও ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে। পাহাড়ে বিশেষ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হবে। ১০ লক্ষ নতুন এমএসএমই গঠন করা হবে। মেয়েদের জন্য আরও বেশি স্কুল কলেজ তৈরি হবে। যাঁরা সংরক্ষণের আওতায় নেই সেইসব গরিব পরিবারকেও মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।’পাহাড়ে জন্য তৈরি হবে বিশেষ উন্নয়ন বোর্ড। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ৬০০০ টাকার সাহায্য বাড়িয়ে ১০,০০০ টাকা করার প্রতিশ্রুতি।