ইউক্রেনের হাতে আমেরিকার জ্যাভলিন ! ধ্বংস ২৮০ রাশিয়ান ট্যাঙ্ক

যুদ্ধের নবম দিনেও অনমনীয় মনোভাব নিয়ে, বৃহত্তর রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে ইউক্রেন। রাশিয়ার অত্যাধুনিক মিসাইল হানায় ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল। অপ্রতিরোধ্য রাশিয়াকে প্রতিহত করতে যখন বেশিরভাগ পরিকল্পনাতেই ব্যর্থ হচ্ছে জেলেন্সিকির দেশ, তখন আমেরিকার কাছ থেকে প্রাপ্ত জ্যাভলিন মিসাইলকে হাতিয়ার করেই পাল্টা প্রতিঘাতে কামাল দেখতে শুরু করেছে ইউক্রেন বাহিনী। মার্কিন এক সাংবাদিকের মতে, এই মূহূর্তে ইউক্রেনের হাতে থাকা এই অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে শত শত রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া গাড়ি ধ্বংস করেছে ইউক্রেন সেনা। সুত্রের খবর, মাত্র ৩০০টি ফায়ার করেই প্রায় ২৮০টি মতো রাশিয়ান ট্যাঙ্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভলিন।

এবার আসুন একনজরে জানিয়ে রাখি কিভাবে কাজ করে এই জ্যাভলিন-

রেথিয়ন মিসাইল অ্যাণ্ড ডিফেন্স এবং লকহিড মার্টিনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি জ্যাভলিন। এই মিসাইলটি নির্দিষ্ট একটি কক্ষপথ অনুসরন করে এপর থেকে লক্ষ্যবস্তুর অপেক্ষাকৃত দূর্বল স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। প্রায় প্রতিটি ট্যাঙ্কেরই দুপাশের দিকটি মোটা থাকে, সেই তুলনায় ট্যাঙ্কের ওপরের দিক অপেক্ষাকৃত পাতলা থাক। জ্যাভলিন সেখানেই আঘাত করে। এটি ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত সেনারও প্রয়োজন পরে না। মাত্র একজন জওয়ান নিজে কাঁধে ভর করে জ্যাভলিন বহন এবং পরিচালনা করতে পারে, যদিও অতিরিক্ত লঞ্চ টিউব বহন করতে আরও হাতের প্রয়োজন হয়।

যেহেতু রাশিয়া জানতো যে ইউক্রেনে এখন জ্যাভলিন রয়েছে, তাই তারা ডনবাসে তাদের T-72 ট্যাঙ্কগুলিকে অতিসক্রিয়তা থেকে বিরত রাখে। যেকারনেই মনে করা হচ্ছে রাশিয়ান বাহিনীর দীর্ঘ ৬৪ কিলোমিটার লম্বা ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ির সেনাবহরকে ধীরে করে দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রথম পর্যায়ে আমেরিকার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি জ্যাভলিন হাতে পায় ইউক্রেন। এবিষয়ে আরও জানিয়ে রাখা ভাল ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসর রুখতে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ইতমধ্যেই ইউক্রেনকে প্রায় ২৬৩৬ কোটি টাকার অস্ত্র সরবরাহ করছে, যার মধ্যেই রয়েছে এই জ্যাভলিন ও বিমান স্টিংগার মিসাইল।

Related posts

বৃহস্পতির দুপুরে কলকাতা ও আশেপাশের জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি

সকাল থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ, আজও কি ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা?

উত্তরাখণ্ডে বন পোড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত, ১৩৮৬ হেক্টর বনাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত, মৃত ৫