ডেস্ক: কোচবিহারের পা রেখেই চেনা ভঙ্গিতে আক্রমণ শানান রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে বলেছেন, প্রশাসনিক নির্দেশে রাজ্যপাল সরকারের মুঠোয় চলে আসবে।’
তাঁর দাবি, চিঠি দিয়ে তাঁর সাংবিধানিক পদকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের হিংসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিকেই দায়ী করেন ধনকড়। বলেন, ‘বাংলা ছাড়াও ৪ রাজ্যে নির্বাচন হয়েছে, কোথাও রক্তপাত হয়নি। প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরেই হিংসা হয়েছে রাজ্যে।’
শুধু রাজ্য প্রশাসন নয়, কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণেরও সমালোচবনা করলেন রাজ্যপাল। সম্প্রতি, হিংসা মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করে হাইকোর্ট। এই প্রেক্ষিতে এদিন উচ্চ আদালতের সমালোচনা করেন ধনকড়।
এদিন শীতলকুচিতে ৩ মে মৃত মানিক মৈত্রর বাড়িতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর । মাথাভাঙায় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। রাজ্যপালের শীতলকুচি সফর ঘিরে এদিন শীতলকুচি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জোড়পাটকিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পোস্টার পরে। গোলকগঞ্জে জগদীপ ধনকরকে কালো পতাকা দেখান হয়। নাগরিক মঞ্চের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পত্রযুদ্ধ, “সংবিধান মেনে যা যা করার সব করব “মমতাকে পাল্টা জবাব রাজ্যপালেরণণ
এদিন শীতলকুচিতে ৩ মে মৃত মানিক মৈত্রর বাড়িতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ।মাথাভাঙায় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। মানিক মৈত্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যপাল। কিন্তু লক্ষ্যণীয়ভাবে তাঁরা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সকালেও তাঁদের প্রত্যেককেই বাড়িতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই কোথায় বেপাত্তা হয়ে যান সকলের অলক্ষ্যে, তা কেউই ঠাওর করতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, এদিকে তাঁর এই সফরকে ঘিরে রাজ্যের সঙ্গে ফের সংঘাত চরমে উঠেছে। এদিন দিনহাটার রাস্তা ধরে যাচ্ছিল রাজ্যপালের কনভয়। দিনহাটায় রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী হাতে পোস্টার নিয়ে কার্যত রাজ্যপালকে নিশানা করে গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এই দৃশ্য দেখে প্রথমে গাড়ির ভেতর থেকেই বিষয়টি জানতে চান রাজ্যপাল। এরপরই গাড়ি থেকে সটান নেমে পড়েন তিনি। রাজ্যপালকে সামনে দেখে কিছুটা থমকে যান বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ কোনওরকমে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপরই রাস্তায় দাঁড়িয়ে আইসির খোঁজ শুরু করেন রাজ্যপাল।
তিনি বলেন,’ রাজ্যপালের সামনে এমন হতে পারে? বার বার বলছি আইসি কোথায়? আপনি আইসি? এটা কী হচ্ছে? এরকম হতে পারে?’ রাজ্যপালের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘আপনি কোচবিহারের দিকে যাবেন বলে খবর ছিল।’ এরপর রাজ্যপাল বলেন, ‘আপনার কাছে এত অজুহাত রয়েছে। অথচ আইন শৃঙ্খলা কেন মানা হচ্ছে না সেব্যাপারে কোনও অজুহাত নেই। পুলিশ ব্যর্থ। আমার গাড়ি কোথায় যাচ্ছে আপনাদেরও জানা দরকার। গভর্নরের গাড়ি এভাবে আটকানো যায়? আমি মর্মাহত। আইন ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আমি ভাবতে পারছি না,এমন হতে পারে। এটা পরিকল্পিত। ‘