ডেস্ক: নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দায় একটি গেঞ্জির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোররাতে এলাকার একটি গেঞ্জি কারখানা এবং ওষুধের দোকানে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ করছে।সাত ধণ্টা পরেও দাউড়দাউ করে জ্বলছে বিলকান্দার ওই কারখানা চত্বর। সূত্রের খবর ওই কারখানা চত্বরে চারজন আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ইয়াসের কারণে ঝোড়ো হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকলের কর্মীদের। শুধু কারখানা নয় পাশের একটি ওষুধের বিল্ডিংয়ের আগুন ছড়িয়ে যায়।
পর পর ফাটতে থাকে গ্যাস সিলিন্ডার। আশে পাশে বেশ কিছু ছোটবড় কারখানা রয়েছে। তাই যাতে আগুন না ছড়িয়ে যায় সেকারণেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। কারখানার ভেতরে কয়েকজনের আটকে পড়ার সম্ভবনাও রয়েছে।
দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। দমকল সূত্রে খবর, যে কারখানাটিতে আগুন লেগেছে তা এতই বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে যে যে কোনও মুহূর্তে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই দিক বিবেচনা করেই বহুতলটিতে প্রবেশ করতে পারছে না বাহিনী। বাইরে থেকেই চলছে আগুন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা, কাজ করছে দমকলের রোবট। কারখানার বাইরে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে চারটি বাইক। বেশ কয়েকটি এসি মেশিন থাকায় আগুনের দাপট আরও বেড়েছে।
পাশাপাশি বাইরে ঝোড়া হাওয়ার কারণেও আগুন নিয়ন্ত্রণ মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা ঘটনাস্থল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রতিবেদকরা মনে করছেন আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যেতে পারে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে।
দমকল সূত্রে খবর, এই কারখানায় ঘটনার সময়ে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কোনও ভাবেই কাজ করেনি। কাজ করেননি ফায়ার অ্যালার্মও। এই মুহূর্তে আগুন জ্বলছে কারখানার বেশ কয়েকটি তলায়। পাশাপাশি, ঘিঞ্জি এই এলাকায় ১৫টির বেশি ইঞ্জিন ঢোকানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় দু ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক।