ওয়েবডেস্ক : শনিবার সকাল থেকে করোনা টিকার মহড়া শুরু হল রাজ্যের ৩ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। দত্তাবাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, আমডাঙা এবং মধ্যমগ্রামে এই ড্রাই রান হচ্ছে গ্রামীণ হাসপাতালে। এই ৩ জায়গায় বিধিনিষেধ মেনে মহড়া শুরু হয়েছে। ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), কেন্দ্র এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ২৫ জনকে ‘ডামি’ বা ‘নকল’ টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এই তিন জায়গায়।
লন্ডন থেকে প্রথমে যাত্রিবাহী বিমানে দুবাই আসে করোনার ভ্যাকসিন। সেখান থেকে কার্গো বিমানে ভ্যাকসিন পৌঁছয় দমদম বিমানবন্দরে। শনিবার সকাল ৭টা বেজে ৪০ মিনিটে অবতরণ করে কার্গো বিমান। রাজ্যে করোনার ভ্যাকসিন আসার পর চলে প্রসেসিং পর্ব। প্রসেসিং পর্ব শেষে পৌনে ৯টা নাগাদ বিমানবন্দর থেকে নাইসেডের উদ্দেশে রওনা দেয় অক্সফোর্ড নির্মিত করোনার ভ্যাকসিন।
বিধাননগরের দত্তাবাদে এদিন প্রথমে ভ্যাকসিন নেওয়ার মহড়া দিলেন বিধাননগর পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মী হাসিরানি সরকার। প্রত্যেকটি স্থানেই নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মেনেই ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে বসানো হয়। তাঁদের পরিচয়পত্র দেখে নাম নথিভুক্ত করা হয়। এরপর হয় অন্য শারীরিক পরীক্ষাও। স্বেচ্ছাসেবকদের ৫ জনকে এক একটি দলে ভাগ করে তাঁদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশেষ একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখা হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকের নাম, তাঁদের পরিচয় ইত্যাদি তথ্য ওই সফটওয়্যারের মধ্যে সঞ্চিত থাকবে। টিকা নেওয়ার পরই যিনি তা নিচ্ছেন তাঁর কাছে এসএমএস যাবে।
টিকার পরবর্তী ডোজ কবে নিতে হবে, তা-ও ওই সফটওয়্যার জানিয়ে দেবে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গণহারে টিকা দেওয়ার সময় কাদের টিকাকরণ হল এবং তাঁদের পরবর্তী টিকার ডোজ কবে নিতে হবে, সে সবই ওই সফটওয়্যার জানিয়ে দেবে।
এদিকে টিকা প্রদানের মহড়া শুরু হওয়ার পরই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ভেবেছিলেন সত্যিই টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরে অবশ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাদের সেই ভুল ভাঙান।