ডেস্ক: ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ডেস্টিনি ছিল। ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রচারে গিয়ে নিজের জয়ের বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ায় তিনি একটি প্রচারসভায় যোগ দেন। তার আগে জৈন মন্দিরে পুজো দেন, জৈন গুরুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।
মমতা এদিন প্রচার মঞ্চ থেকে দাবি করেছেন, ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়াই তার ডেস্টিনি ছিল। ভবানীপুর থেকেই শুরু হয় ভারতবর্ষ। বি-তে ভারত, বি-তে ভবানীপুর বার্তা দিয়েছেন মমতা। আর এই বার্তাতেই জাতীয় রাজনীতির সূত্র বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
৩০ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই যেন সকলে ভোট দিতে যান। তার অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা। ৩০ সেপ্টেম্বর যাতে সকলে ভোট দিতে পারেন সেদিন ছুটি ঘোষণা করেছেন তিনি। মমতা বলেন,”বৃষ্টি হলেও বাইরে বেরিয়ে ভোট দেওয়া জরুরি। ওই দিন ছুটি ঘোষণা করেছি। যেখানে যেখানে ভোট সেখানে ছুটি ঘোষণা করেছে অর্থ দফতর ও শ্রম দফতর। বেসরকারি কর্মীরাও সবেতন ছুটি পাবেন। মা-ভাই-বোনেরা ৩৬৫ দিন যে কাজটা করি, যদি চান সেটা আমি চালিয়ে যাই তাহলে একটা ভোট আমাকে আশীর্বাদ হিসেবে দেবেন।”
আরও পড়ুন: ‘শাড়ি নাকি স্মার্ট পোশাক নয়’, দিল্লির রেস্তরাঁয় ঢুকতে পারলেন না সাংবাদিক
বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ার সভা থেকে জনতার কাছে ভোটের আবেদন জানাতে গিয়ে মমতা বললেন, ”এখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হব। আর ভোটে জিতে বিধায়ক না হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা শোভনীয় হবে না। আমি ৬ বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে ভোটে লড়েছি। ২০১১ সালেও উপনির্বাচনে (By-election) এই কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০২১এও তাই। এটাই হয়ত হওয়ার ছিল।”
এর পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী (TMC Supremo) স্মরণ করিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে তাঁকে উপভোটে জিতে আসতে হবে। তাঁর কথায়,”আমার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোকের অভাব নেই। বর্ষা, ঝড়-ঝঞ্ঝাকে রুখে নতুন ভাবে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে হবে আমরা শুনেছি ওই মাভৈঃ মাভৈঃ…। তুফান আসুক, টর্নেডো আসুক- সব কিছুকে জয় করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। ভোট মেশিনে আমার চিহ্ন নম্বর ওয়ান।”