প্রথম দফার পরেই গতি হারিয়েছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে থমকে থাকার পরে ফের সক্রিয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে বর্ষার হাওয়া। মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য অংশে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। এর জেরে ফের মৌসুমি বায়ুর নড়াচড়া শুরু হতে পারে।
এ দিকে আবহাওয়াবিদদের মতে, আগামী ৪৮-৭২ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করতে পারে বর্ষা। বৃষ্টির আনাগোনা বাড়বে। কমবে গরমের দাপট। তবে এখনই ভারী বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই
চলতি বছরে বর্ষা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই, ২৪ মে কেরলে ঢুকেছিল। ২৯ মে উত্তরবঙ্গেও প্রবেশ করে বর্ষার বাতাস। এরপরই আচমকা থমকে যায় তার অগ্রগতি। সাধারণত ৭ জুন নাগাদ উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকে। সেই হিসেবে এ বছর বর্ষার আগমন যথেষ্ট আগেই হলেও তার পরবর্তী ধাপে গতি হারায় মৌসুমি বায়ু।
আবহাওয়া দফতরের মতে, ভারতের মূল ভূখণ্ডে বর্ষার বাতাস দফায় দফায় ঢোকে। প্রথম ঢেউয়ের পরে সমুদ্রে নতুন কোনও ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ তৈরি না হলে বর্ষার দ্বিতীয় ধাপ ঢোকার শক্তি পায় না। এবার অন্ধ্র উপকূলে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরির ফলে মৌসুমি বায়ুর অগ্রগতি ফের শুরু হতে পারে।
এই দীর্ঘ থমকে থাকার ফলে দেশে গড় বর্ষার বৃষ্টি অনেকটাই কম। ১১ জুন পর্যন্ত সারা দেশে যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ার কথা ৪০.১ মিমি, সেখানে হয়েছে মাত্র ২৬.৪ মিমি। দেশের পূর্বাঞ্চলেও বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে—স্বাভাবিক ৯৩.৩ মিমির পরিবর্তে হয়েছে মাত্র ৭১.৩ মিমি। ফলে বৃষ্টির জন্য অধীর অপেক্ষায় কৃষিজীবী ও সাধারণ মানুষ।