কলকাতা: গত শনিবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট (জেডিএফ) – এর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে আত্মপ্রকাশ করে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (জেডিএ) নামে একটি সংগঠন। আর দিন তিনেক পরে আসরে নামল প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন(পিজেডিএ)। যারা নিজেদের সরকারপন্থী চিকিৎসক সংগঠন বলে জানাল।
জুনিয়র ডাক্তারদের আরও একটি সংগঠন ‘প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টর্স’ অ্যাসোসিয়েশন’ ময়দানে নেমে মঙ্গলবার দাবি করল, তারাই ‘আসল সরকারপন্থী’ সংগঠন। শুধু এই দাবি করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। তাদের এ-ও বক্তব্য, গত শনিবার যে সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছিল, তাদের মাথারাই ‘থ্রেট কালচার’-এর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে যুক্ত। ফলে তিন সংগঠনের লড়াইয়ে সব মিলিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জল আরও ঘোলা হয়ে উঠল বলে মনে করছেন অনেকে।
পিজেডিএ-র তরফে ঋতুপর্ণা কয়ালরা বলেন, তাঁরা প্রথম থেকে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। এখন জেডিএফের আন্দোলন মুষ্টিমেয় কয়েকজন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখন ফ্রন্টের আন্দোলন বাম-অতি বাম নেতৃত্ব দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় তাঁরা পৃথক কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। কিছু লোক সরকারকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডক্টর্স’ অ্যাসোসিয়েশন আদতে তৃণমূলের চিকিৎসক সেল। তাদেরই জুনিয়র ডাক্তারদের শাখা এই প্রোগ্রেসিভ জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন। কৌতূহলের বিষয়, শনিবার জুনিয়র ডক্টর্স’ অ্যাসোসিয়েশন আত্মপ্রকাশ করার পরে মঙ্গলবার প্রোগ্রেসিভ অ্যাসোসিয়েশনকে মাঠে নামানোর নেপথ্যে কারা রয়েছেন?