জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে। ছবি: রাজীব বসু
কলকাতা: শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কোন পথে যাবে, তা নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কোনও সমাধানসূত্র বের হবে বলে আশাবাদী ছিলেন অনেকে, কিন্তু সেই বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
রবিবারও জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে অবস্থান তুলে নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বরং তাঁদের বক্তব্যে আন্দোলনের আরও তীব্র হওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ দাবি করেছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। এ অবস্থায়, আগামী দিনগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে, যা এই আন্দোলনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আদালত কী সিদ্ধান্ত নেবে, তা নিয়ে সকলের মধ্যেই উদ্বেগ রয়েছে। তবে, আদালতের সিদ্ধান্তের আগে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনও বড় সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা হতে পারে কি না, সেই দিকেও নজর রয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তাররা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাঁদের মূল দাবি হল, আরজি কর কাণ্ডের বিচার, সমস্ত দোষীদের শাস্তি, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ। এই দাবিগুলি মেনে নেওয়ার জন্য তাঁরা সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন। আন্দোলনকারী ডাক্তারদের মতে, চিকিৎসকদের সুরক্ষা না থাকলে তাঁরা যথাযথভাবে কাজ করতে পারবেন না, এবং সেই কারণেই তাঁরা তাঁদের দাবি নিয়ে অনড়।
এখন প্রশ্ন হলো, সোমবার আন্দোলনকারীরা নতুন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন কি না। আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং সরকারের তরফে যদি কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ না আসে, তবে আগামী দিনে আন্দোলন আরও বৃহৎ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্দোলনকারীদের তরফে কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা হওয়ার আগে, সুপ্রিম কোর্টের মঙ্গলবারের শুনানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের সিদ্ধান্তের আগে এই আন্দোলন অন্য কোনো মোড় নেয় কিনা।