কলকাতা: তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে টলি এবং বলিপাড়ায় চুটিয়ে অভিনয় করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।এতগুলো বছর ধরে তিনি নিজের অভিনয় দিয়ে মুগ্ধ করে এসেছেন দর্শকদের।ঋতুপর্ণা বয়সের হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেও তাঁর আবেদনময়ী রূপে এখন ও ঘুম উড়ে যায় ভক্তদের।ঋতুপর্ণা করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন।
টলি কুইনের জন্ম কলকাতাতেই।তিনি খুব অল্প বয়সে চিত্রাংশু শিল্পবিদ্যালয় থেকে অঙ্কন, নৃত্য ও হাতের কাজে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন।তাঁর পড়াশোনা কার্মেল স্কুলে। পরে লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাবিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হন।এরপর অভিনয় জগতে পা রাখার কারণে তাঁকে পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়েছিল।
১৯৮৯ সালে কুশল চক্রবর্তীর বিপরীতে বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্বেত কপোত’ দিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অভিনয় জীবনের শুরু।এরপর বড়পর্দায় তিনি ডেবিউ করেন প্রভাত রায়ের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবি ‘শ্বেতপাথরের থালা’তে অভিনয় করে।ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। অসংখ্য সুপারহিট ছবিতে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন তিনি।আশির দশকের তাপস পাল থেকে শুরু করে বহু নায়কের বিপরীতেই কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন ঋতু। তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জুটি বাংলা ছবির ইতিহাসে সারাজীবন একটা মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।
ঋতুপর্ণা বাংলাদেশের ছবিতে ও প্রচুর কাজ করেছেন।সেখানেও তিনি পেয়েছেন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত প্রথম বাংলাদেশী ছবি ‘স্বামী কেন আসামী’ মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে।বাংলাদেশের মান্না, ফেরদৌস, আমিন খান, হেলাল খান, রিয়াজ, আরিফিন শুভ’র মতো জনপ্রিয় সব নায়কদের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি।