ওয়েবডেস্ক : উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ফেটে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে মানচিত্র থেকে ‘ধুয়ে মুছে সাফ’ তপোবন বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বড় অংশ। তপোবনের কাছাকাছি মালারি উপত্যকায় প্রবেশের দু’টি সেতু প্রবল জলোচ্ছ্বাসে আক্ষরিক অর্থেই ভেসে গিয়েছে।
নন্দাদেবী হিমবাহ থেকে নীচে ধউলিগঙ্গা এবং অলকানন্দার তীর বরাবর পিপলকোটি এবং চামোলি পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ দেখা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপত্যকায় চলা বিভিন্ন নির্মাণকাজ।
একটি সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার করা গেলেও বাকি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগই করা সম্ভব হয়নি। তপোবনে এনটিপিসি-র যে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছিল, বন্যার জেরে তার ১০০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে।
ওই প্রকল্পস্থলে দু’টি সুড়ঙ্গে প্রচুর শ্রমিক কাজ করছিলেন। তার মধ্যে একটি সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকলকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপর সুড়ঙ্গে উদ্ধারকাজ এখনও সে ভাবে শুরুই করা যায়নি।
আরও পড়ুন : হিমবাহ আছড়ে জোশীমঠ হৃষিকেশে প্রলয়, জাতীয় বিপর্যয়, চালু হেল্পলাইন
বিদ্যুৎ প্রকল্পের আড়াই কিলোমিটারের টানেল কাদা পাথরে অবরুদ্ধ। ভেঙে গিয়েছে ৫ টি ব্রিজ। কার্যত, ১৩ টি গ্রামের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গিয়েছে । এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ জনের মৃতদেহ। জানা যাচ্ছে, নিখোঁজ প্রায় ১৭০ জন। টানেলে আরও দেহ থাকতে পারে বলে মনে করছে উদ্ধারকারির দল।
ITBP, নৌসেনা, স্থানীয় পুলিশ উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে আনা হয়েছে JCB মেশিন। বিছিন্ন গ্রাম গুলিতে হেলিকপ্টর করে ফেলা হচ্ছে খাওয়ার। সেখানে নেই জল, নেই বিদ্যুৎ। NDRF এর দল Sniper Dog নিয়ে এসে খোঁজ চালাচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ঘোষমা করেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও যাদের পরিবারের সদস্য মারা গিয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে ৪ লাখ টাকা।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বোরিস জনসন জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের এই দূর্যোগে ভারতে যদি কোনও সহায়তার প্রয়োজন হয় তাহলে তারা প্রস্তুত।